Panchayat

টাকা নিয়ে অঞ্চল সভাপতি মনোনয়ন! অভিযোগে উত্তপ্ত চাঁচল তৃণমূল

অর্থের বিনিময়ে অঞ্চল সভাপতি মনোনীত করছেন ব্লক সভাপতি এই অভিযোগ তুলে সরব ব্লক কমিটির অন্য সদস্যরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:২৩
Share:

ব্লক কমিটির সহ-সভাপতি আদিত্যনারায়ণ চৌধুরী (মাঝখানে)।

অর্থের বিনিময়ে অঞ্চল সভাপতি মনোনয়নের অভিযোগ উঠল চাঁচলে। এই ঘটনা ঘিরে বিধানসভা ভোটের মুখে অঞ্চল কমিটি গঠন নিয়ে প্রকাশ্যে এল মালদহের চাঁচল ২ নম্বর ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। অর্থের বিনিময়ে অঞ্চল সভাপতি মনোনীত করছেন ব্লক সভাপতি এই অভিযোগ তুলে সরব ব্লক কমিটির অন্য সদস্যরা। ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে জেলা নেতৃত্বকে লিখিত অভিযোগ করেছেন ব্লকের সহ-সভাপতি ও অন্য নেতৃত্ব। উভয়পক্ষকে নিয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুনরায় চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি মনোনীত হয়েছেন হাবিবুর রহমান। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সরব ব্লক কমিটির সহ-সভাপতি আদিত্যনারায়ণ চৌধুরী-সহ অন্য নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান গঠনের সময় আর্থিক লেনদেনে জড়িয়ে পড়েছিলেন ব্লক সভাপতি। অথচ পুনরায় তাঁকেই ব্লক সভাপতি পদে মনোনীত করা হয়। ব্লক সভাপতি মনোনীত হওয়ার পরেই অঞ্চল কমিটি গঠন নিয়ে আর্থিক লেনদেনে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। অঞ্চল সভাপতি করার নামে টাকা তুলেছেন ব্লক সভাপতি। ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে লিখিত ভাবে জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছেন ব্লকের সহ-সভাপতি ও অন্যান্যরা।

যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্লক সভাপতি হবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘‘বদনাম করার জন্য এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। সামনাসামনি বসলে পরিষ্কার হয়ে যাবে, কারা টাকা নিয়েছে।’’ ঘুরিয়ে তিনি অভিযোগকারীদের আক্রমণ করেন। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁরা অভিযোগ করছেন তাঁরা দূর্নীতিতে যুক্ত থেকে দলকে বদনাম করছেন। সমস্ত বিষয় জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: কোচবিহারে বিতর্কে মধ্যে শুরু রাসের শিল্পমেলা, আমন্ত্রণ পত্রে নাম নেই মিহির, নিশীথের

যদিও গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি মানতে চাননি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, ‘‘দলের মধ্যে কোনও কোন্দল নেই। এখন সমস্ত প্রক্রিয়াটি রাজ্য দেখছে। রাজ্য মনে করছে, আগে যেমন হত জেলায় ঘনিষ্ঠ কারও ছাড়পত্র পেলেই ব্লক সভাপতির পদ পাওয়া যেত। এগুলো মনে করার কোনও বিষয় নেই।’’ তিনি জানিয়েছেন, উভয় পক্ষকে নিয়ে সামনাসামনি বসে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে।

তৃণমূলে এই কোন্দলকে কটাক্ষ করেছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। জেলা বিজেপি-র সহ-সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যে ব্লক সভাপতিকে নিয়ে কোন্দল তাঁর বিরুদ্ধে নিজেদের দলের লোক অভিযোগ করছে। এই দলটি দুর্নীতিগ্রস্ত।’’

আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে মহিলা তৃণমূলের সভায় চন্দ্রিমা, বিজেপিকে আক্রমণ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement