Teesta River

উত্তর সিকিমে ধস, বাড়ছে তিস্তার জলস্তর

মঙ্গলবার জানা গিয়েছে, দক্ষিণের পরে উত্তর সিকিমের একাধিক এলাকায় ধস নেমেছে। লাচেন, চুংথাং, মঙ্গনের বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ। মঙ্গলবার কোথাও কোথাও বেলার দিকে রাস্তা খুললেও বৃষ্টিতে নতুন করে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২৪ ০৮:১১
Share:

তিস্তা নদী। —ফাইল চিত্র।

সিকিমের পাহাড়ে দুর্যোগ অব্যাহত। বর্ষা শুরুর বৃষ্টিতে সে রাজ্যের পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

Advertisement

মঙ্গলবার জানা গিয়েছে, দক্ষিণের পরে উত্তর সিকিমের একাধিক এলাকায় ধস নেমেছে। লাচেন, চুংথাং, মঙ্গনের বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ। মঙ্গলবার কোথাও কোথাও বেলার দিকে রাস্তা খুললেও বৃষ্টিতে নতুন করে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। এ দিন সকালে দীর্ঘক্ষণ সিকিমগামী জাতীয় সড়ক বন্ধ ছিল সিংতামে। এর জেরে যানজট দেখা দেয়। দশ-বারো ঘণ্টা সময় লেগেছে শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক যেতে। এরই মধ্যে সিকিম থেকে কালিম্পং অবধি তিস্তার জলস্তর আশঙ্কাজনক ভাবে বাড়ছে। রাতে ফের বৃষ্টি শুরু হলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে প্রশাসনের আশঙ্কা। শিলিগুড়ি থেকে সিকিম, কালিম্পংগামী সড়কেও নজর রাখা হচ্ছে। এই জাতীয় সড়কের বেশ কয়েকটি এলাকায় অবস্থায় ভাল নয় বলে খবর মিলেছে।

দক্ষিণ সিকিমে সোমবার ভোরেই ধসে চাপা পড়ে তিন জন মারা যান। ধসে গিয়েছে সাতটি বাড়ি। এ দিন বর্ডার রোড অর্গানাইজ়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, গত অক্টোবরে তিস্তার জলস্ফীতির জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় উত্তর সিকিম। নতুন করে দক্ষিণ সিকিমের রাবাংলা যাওয়ার রাস্তায় রংপোখোলায় একটি সেতু ধসে ভেঙে পড়েছে।

Advertisement

দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়েও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে। শিলিগুড়িতেও প্রবল বৃষ্টিতে শহরের একাধিক এলাকা জলমগ্ন। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, “অল্প সময়ের প্রবল বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জল জমলেও কোথাও জল দাঁড়ায়নি।”

এর মধ্যেই নতুন করে আরও সক্রিয় হয়েছে মৌসুমি বায়ু। এর জেরে আগামী কয়েক দিন পাহাড় এবং পাদদেশ সংলগ্ন জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “মৌসুমি বায়ু বেশ সক্রিয়। তাই বঙ্গোপসাগর থেকে দখিনা বাতাস প্রচুর জলীয় বাষ্প টেনে আনছে।” তবে তিনি জানান, গৌড়বঙ্গে আগামী শনিবার থেকে কিছুটা বৃষ্টি মিলতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement