কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। —ছবি : সংগৃহীত
কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত এক নার্সকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবারের ঘটনা। রবিবার বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হওয়ার পরে, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে চিঠি পাঠান জিটিএ-র চিফ এগজ়িকিউটিভ অনীত থাপা। ওই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ডিরেক্টর, কোচবিহারের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, চিঠিতে অনীত জানান, ‘ওই নার্স কালিম্পং জেলার বাসিন্দা।’ এক মেডিক্যাল অফিসারের বিরুদ্ধে তাঁকে মারধর, হেনস্থার অভিযোগের কথা জানিয়ে ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। ঘটনার তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। তবে এ দিন মেডিক্যাল সূত্রে দাবি, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি মেডিক্যাল অফিসার নন, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি।
গত শনিবার ওই কর্তব্যরত নার্সকে মারধরের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মেডিক্যাল চত্বর। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান নার্সদের একাংশ। সে দিনই তদন্ত কমিটি গঠন করেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। রবিবার ওই কমিটিতে বদল করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, শনিবার মেডিক্যালে কর্তব্যরত এক নার্স ও প্রথম বর্ষের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি (জুনিয়র চিকিৎসক) বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। দু’পক্ষই কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান। মেডিক্যাল সূত্রের খবর, ওই জুনিয়র চিকিৎসককে গালিগালাজ করা হয় বলে তিনি সংশ্লিষ্ট নার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। অন্য দিকে, ওই পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি (জুনিয়র চিকিৎসক) নার্সকে মারধর করেন বলে নার্সের তরফেও পাল্টা অভিযোগ জানানো হয়। তবে প্রকৃত ঘটনা জানতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ।
ওই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি রাজীব প্রসাদ রবিবার বলেন, “দু’পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখে সত্যি কী ঘটনা হয়েছিল তা জানতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। মঙ্গলবারের মধ্যে ওই কমিটি রিপোর্ট দেবে।”
রবিবার রাতে এমএসভিপি দাবি করেন, ‘‘প্রথম বর্ষের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এক ট্রেনির সঙ্গে কর্তব্যরত নার্সের ভুল বোঝাবুঝি হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’’ কী নিয়ে বাদানুবাদ? মেডিক্যাল সূত্রে খবর, এক রোগীর রক্ত নিতে সমস্যা হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ওই জুনিয়র চিকিৎসকের সাহায্য চান ওই নার্স। তাতে রাজি হননি তিনি। তা নিয়েই বাদানুবাদের সূত্রপাত।