মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া অগ্নি নির্বাপক। ছবি: স্বরূপ সরকার
এর আগে শতাব্দীর কামরায় ‘ওয়াইফাই’ কাজ না করার অভিযোগ ওঠে। তিস্তা-তোর্সা, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলির কামরায় আরশোলা ঘুরে বেড়ানোর নজিরও সামনে এসেছে। এ বার যাত্রী নিরাপত্তা ও পরিষেবায় গাফিলতির অভিযোগ নতুন করে উঠল কামরূপ এক্সপ্রেসে। কামরূপ এক্সপ্রেসের বাতানুকূল কামরায় থাকা অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডারের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরেও তা যথাসময়ে বদল না করে রেখে দেওয়া হয়েছে বলেঅভিযোগ উঠেছে।
শনিবার হাওড়া থেকে ডিব্রুগড়গামী কামরূপ এক্সপ্রেসের বাতানুকূল কামরা এ-ওয়ানের বাতানুকূল যন্ত্রের আউটলেট থেকে জল বেরিয়ে যাত্রীদের গায়ে পড়ে বলে অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে কিছু যাত্রী বিরক্তি প্রকাশ করেন। যদিও শেষ পর্যন্ত কোনও অভিযোগ লিখিত ভাবে রেলের কাছে জমা পড়েনি। ওই কামরাতেই মেয়াদ পুরনো অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের সিলিন্ডার নজরে আসে যাত্রীদের। প্রশ্ন উঠেছে, মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরেও কেন যথাসময়ে ‘সিলিন্ডার রিফিলিং লেভেলিং’ করা হচ্ছে না?
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রের খবর, কামরূপ এক্সপ্রেসের রক্ষণাবেক্ষণ ডিব্রুগড়েরই করার কথা। অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডারের ভিতরে থাকা সাদা পাউডারের মতো বস্তু বদলে নতুন করে লেভেল সেঁটে দেওয়াই রীতি। কামরূপে তা হলে কি ঠিক সময়ে অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র বা বাতানুকূল কামরার রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না? তা যদিও মানতে নারাজ রেলকর্মীদের সংগঠনগুলি। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল মজদুর ইউনিয়নের এনজিপি-র শাখা সম্পাদক সৌম্যদীপ কর্মকার বলেন, ‘‘রেলের বিধি মেনে নিয়মিত সব খতিয়ে দেখা হয়। একটি-দু’টি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়ে থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে কী হয়েছে, না জেনে বলা মুশকিল।’’
রেলের কর্তারা অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে-কে হোয়াটসঅ্যাপ করে জবাব মেলেনি।