প্রতীকী ছবি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভাইরোলজি রিসার্চ অ্যান্ড ডায়গোন্যাস্টিক ল্যাবরেটরিতে করোনা সংক্রমণ পরীক্ষার প্রিন্সিপ্যাল ইনভেস্টিগেটর অরুণাভ সরকার। তিনি মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজির প্রধানও। রবিবার রাত থেকে তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেই ভর্তি। অরুণাভবাবু হাসপাতালে ভর্তি থাকায় করোনা পরীক্ষা ব্যবস্থা দেখভালের কাজ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে কর্তৃপক্ষের একাংশের। কারণ পুরো পরীক্ষা ব্যবস্থা এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাগুলো থেকে লালারসের নমুনা আনার প্রক্রিয়ার সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি পুরনো শারীরিক সমস্যার কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। সোমবার তাঁর আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করা হয়। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ প্রবীর কুমার দেব বলেন, ‘‘মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অসুস্থ। তবে তাতে পরীক্ষা ব্যবস্থায় কোনও প্রভাব পড়বে না। বাকিরা দেখছেন। তিনিও দ্রুত সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দেবেন বলে আশাবাদী।’’ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রিন্সিপ্যাল ইনভেস্টিগেটরকে পরীক্ষা রিপোর্টে সই করতে হয়। তা ছাড়া নানা জায়গায় তাঁর সই লাগে। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য যে ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়াম (ভিটিএম) সরবরাহ করা হয় তা তিনি দেখেন। কোথায় কত ভিটিএম দিতে হবে সে সব তাঁর পরামর্শেই হয়ে থাকে। জেলাগুলোর সঙ্গে এ ব্যাপারে তিনি সমন্বয়ের কাজও করতেন।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ১৩০০ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। যা রেকর্ড। করোনা পরীক্ষায় পুল টেস্ট শুরু হয়েছে অন্তত দু’সপ্তাহ আগে। তাতেই নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়়ানো সম্ভব হয়েছে। এর পিছনে অরুণাভবাবুর উদ্যোগ রয়েছে বলে মেডিক্যালের একটি সূত্র জানাচ্ছে। তবে অত্যাধিক পরীক্ষার চাপে ঠিকমতো খাওয়াও হচ্ছে না কর্মী, আধিকারিকদের।
তবে পুল টেস্ট সব ক্ষেত্রে বা সব জায়গায় করা সম্ভব নয়। সাধারণত যেখানে পজ়িটিভ রোগীর সংখ্যা কম সেখানে পুল টেস্ট করা হয়ে থাকে।