রিলের ফাঁদে রণজয় বিষ্ণু! ছবি: ফেসবুক।
রণজয় বিষ্ণুর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার! কী হয়েছে তাঁর? মাথায় চোট পেয়েছেন? নাকি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ? জানা যাচ্ছে না। এ দিকে, অভিনেতার অস্ত্রোপচারের ঝলক প্রকাশ্যে। সেই ঝলক অনুযায়ী, এই ধরনের অস্ত্রোপচারের আগে মাথা কামাতে হয়। রোগীও যথেষ্ট ভয়ে থাকেন। সে সব কোথায় কী? মাথা না কামিয়েই পুরোটা হল। দুই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে। আবার হাসতে হাসতে!
এখানেই শেষ নয়। রোগী তো হাসছেনই, চিকিৎসকেরাও তাল মিলিয়ে হাসছেন! অস্ত্রোপচার শেষ হতে রোগী হাসতে হাসতে নিজেই গটগট করে হেঁটে বেরিয়ে গেলেন। এমন অভিনব অস্ত্রোপচার দেখে তাজ্জব নেটাগরিকেরা, রণজয়ের অনুরাগীরাও। একজন তো আফসোস জানিয়েই ফেললেন মন্তব্যের বাক্সে, “আমারও মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তার জন্য মাথা কামাতে হয়েছিল। এখানে কী সুন্দর মাথা না কামিয়েই অস্ত্রোপচার হয়ে গেল!”
এমন চিকিৎসা কোথায় পেলেন? আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নে শুনে খোলসা করলেন রণজয়। অভিনেতার কথায়, “‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ ধারাবাহিকে বিশেষ দৃশ্য আসছে। সেখানেই আমার অস্ত্রোপচার। তার প্রস্তুতি চলছিল রূপটানের ঘরে। পর্দায় আমার বাবা অনিমেষ ভাদুড়িদা মজা করে পুরো বিষয়টি ক্যামেরাবন্দি করে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছেন। ব্যস, ভাইরাল আমরা।” এর পরেই শটের ডাক। কথা থামিয়ে ফের সেটে ছুটলেন রণজয়।
আসল ব্যাপার, অভিনেতারা শুটিংয়ের ফাঁকে রূপটানের ঘরে বসে প্রায়ই খুনসুটিতে মাতেন। মঙ্গলবারও সে রকমই ঘটেছে। দুই চিকিৎসক ওরফে রূপটান শিল্পী রণজয়ের মাথায় যত্ন করে ব্যান্ডেজ বেঁধে দিয়েছেন। নেপথ্যে অনিমেষের কৌতুক মাখানো ধারাভাষ্য। সে সব মিটতেই হাসতে হাসতে শট দিতে গেলেন দুই অভিনেতা।