আনন্দচন্দ্র কলেজ। সংগৃহীত চিত্র।
শিক্ষা দফতরের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, এ বছর কলেজে ভর্তির আবেদনের জন্য কিংবা নথিপত্র আপলোড ও প্রসেসিংয়ের জন্য কোনও টাকা নেওয়া যাবে না। করোনা পরিস্থিতির কারণেই এই সরকারি সিদ্ধান্ত। সেই প্রেক্ষিতে একাধিক কলেজ কর্তৃপক্ষও ইন্টারনেট কাফে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছেন আবেদনকারীদের কাছ থেকে স্ক্যান ও অনলাইন আবেদন করার জন্য বেশি টাকা না নিতে। কাফে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পেলে তাঁদের অসুবিধা নেই।
এর আগে কলেজের অনলাইন ফর্ম ফিল-আপের জন্য জলপাইগুড়িতে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বেশ কিছু কাফের বিরুদ্ধেও। এ বার ১০ অগস্ট থেকে ভর্তির ফর্ম ফিল-আপ শুরু হয়েছে এবং পরিস্থিতির কারণে অনলাইন পদ্ধতির উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে আবেদনকারীদের।
আনন্দচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রেজ্জাক বলেন, ‘‘ভর্তির আবেদন বাবদ ১০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছিল। শিক্ষা দফতর বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে কোনও টাকা নেওয়া যাবে না।’’ আনন্দচন্দ্র কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকার বলেন, ‘‘কলেজে ভর্তির আবেদনের জন্য ৩৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছিল। শুক্রবার থেকে তা লাগবে না। পাশাপাশি, পড়ুয়াদের সুবিধার্থে কলেজে বসে আবেদনকারীদের ফর্ম ফিল-আপ করে দেবেন পুরনো পড়ুয়ারা।’’
জলপাইগুড়ি শহরে আনন্দচন্দ্র কলেজ, প্রসন্নদেব মহিলা মহাবিদ্যালয় ও আনন্দচন্দ্র কর্মাস কলেজ রয়েছে। তিন কলেজে প্রায় তিন হাজার পড়ুয়া প্রতি বছর ভর্তি হন। অভিযোগ, কলেজে ভর্তির টাকা ছাড়াও অনলাইন আবেদনের জন্য কাফেতেও ২০০ থেকে ২৫০ টাকা করে দিতে হচ্ছিল পড়ুয়াদের। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী কলেজ আর টাকা না নিলেও কাফের টাকার কী হবে? জলপাইগুড়ি শহরের তিন নম্বর গুমটির এক কাফে মালিক ইন্দ্রনীল রায় বলেন, ‘‘একটা ফর্ম ফিল-আপের জন্য আমরা ২৩০ টাকা নিচ্ছি। এ বার কম নেব।’’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা দেবজিৎ সরকার বলেন, ‘‘কলেজে ফর্ম ফিল-আপের জন্য ৪০০-৫০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছিল। তা ছাড়া, কাফেতেও বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে। কদমতলার এক কাফে ব্যবসায়ী পড়ুয়াদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে নিচ্ছেন জেনে তাঁকে অনুরোধ করেছি কম টাকা নিতে।"