ফের কুয়াশায় ঢাকল জলপাইগুড়ি।
ভোরে কুয়াশা, সকালে কড়কড়ে রোদ, দুপুরে মেঘলা, বিকেলে হিমেল হাওয়া। এই ছিল শনিবার সারা দিন ধরে জলপাইগুড়ির আবহাওয়ার বদলে যাওয়ার চলচ্ছবি। এ বছর মাঘের শুরু থেকে তুলনামূলক উষ্ণ ছিল আবহাওয়া। শনিবারই মাঘের প্রথম কনকনে দিন নিয়ে এসেছিল। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর শনিবার জানিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণেই আবহাওয়ার এমন হঠাৎ পরিবর্তন।
শনিবার ভোরে জলপাইগুড়ির ঘুম ভেঙেছে কুয়াশায় মুখ ঢেকে। শুক্রবার পর্যন্ত রোদ ঝলমলে ছিল শহর। শুক্রবার রাতেও আকাশ পরিষ্কার ছিল। শনিবার সকালে কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা এতটাই কমে যায় যে জাতীয় সড়কে যান চলাচলও থমকে যায়। সকাল ১০টা পর্যন্ত কুয়াশা ছিল শহরের ব্যস্ত এলাকাতেও। বেলা গড়াতেই কুয়াশা কেটে রোদ ওঠে। এক সময়ে কড়কড়ে রোদে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ চড়া রোদ থাকার পরে, আবার দুপুর থেকে মেঘলা হতে শুরু করে। কমে আসে দিনের আলোর তেজ। তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। বিকেলে দোসর হয় হিমেল হাওয়া। কনকনে হাওয়া গায়ে হাতে বিঁধতে থাকে বলে পথচারীদের মতামত। বিকেলের পর থেকে ফের কুয়াশায় ঢাকতে শুরু করে শহর।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে আবহাওয়ার এই পরিবর্তন। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা কমবে, কুয়াশাও দেখা যাবে। আগামী সপ্তাহের শেষের দিক থেকে ফের আবহাওয়া বদলাতে পারে।”
শীতের বিদায় আসন্ন বলে বেশ কয়েক দিন ধরেই চর্চা শুরু হয়েছিল। তার কারণ হল, তাপমাত্রার বেড়ে যাওয়া। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা বেশিই ছিল জলপাইগুড়িতে। ধীরে ধীরে শীত পিছু হঠতে থাকে। পথচারীদের গায়ে গরম পোশাকের সংখ্যাও কমতে থাকে। শনিবার ছিল একেবারেই উলটপুরাণ।
এ দিন দিনের গড়পরতা তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির কাছাকাছি চলে আসে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার হাত ধরে ফের নতুন করে শীতের আয়োজন শুরু হয়েছে শহরে।