দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে গোষ্ঠী কোন্দল তৃণমূলের, সব্জি ব্যবসায়ীর হাতে লাগল গুলি

তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে উত্তেজনা ছড়াল দিনহাটা ওকরাবাড়ি এলাকায়। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান চলাকালে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিনহাটা শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:২৭
Share:

নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে উত্তেজনা ছড়াল দিনহাটা ওকরাবাড়ি এলাকায়। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান চলাকালে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ভাঙচুর করা হয় অনুষ্ঠান মঞ্চ এবং তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দিনহাটা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন একজন সব্জি ব্যবসায়ী। ওই সব্জি ব্যবসায়ী বর্তমানে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া এবং দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের ব্লক সভাপতি প্রসন্ন দেবশর্মার গোষ্ঠী কোন্দল দীর্ঘদিনের। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রসন্ন দেবশর্মার পক্ষ থেকে দিনহাটা ওকরাবাড়ি এলাকায় কম্বল বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অন্য দিকে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার নেতৃত্বে আরও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ওকড়াবাড়ি বাজার এলাকায়। ব্লক সভাপতির অনুষ্ঠানটি বিকেল ৪টের মধ্যে শেষ হয়ে গেলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত চলতে থাকে বিধায়কের অনুষ্ঠান। অভিযোগ, অনুষ্ঠান চলাকালীন ‘বিজেপি আশ্রিত’ তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সেই অনুষ্ঠানে হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় অনুষ্ঠানের চেয়ার টেবিল এবং মঞ্চ। একটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। তারই মধ্যে চলে গুলি। একটি গুলি ওকড়াবাড়ি বাজারের এক সব্জি ব্যবসায়ীর হাতে লাগে।

এই ঘটনার পরই ওকড়াবাড়ি এলাকায় অবস্থানে বসেন জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার অনুগামী তথা প্রাক্তন ব্লক সভাপতি নুর আলম হোসেন। নুর আলম হোসেন বলেছেন, ‘‘এলাকার কিছু তৃণমূল কর্মী, যারা বিজেপির দালালি করছে, যারা গত লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপির হয়ে দালালি করেছিল, তারাই আজকে হামলা চালিয়েছে।" দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের ব্লক সভাপতি প্রসন্ন দেবশর্মা বলেছেন, ‘‘তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার ওকড়াবাড়ি এলাকায় আমি দলীয় পতাকা উত্তোলন করি এবং গরিব মানুষদের বস্ত্র বিতরণের অনুষ্ঠানে ছিলাম। ওই এলাকায় বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া আরেকটি অনুষ্ঠান করেন। শুনেছি, ওই অনুষ্ঠানে গণ্ডগোল হয়েছে। তবে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে, সেই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’’ আবার গুলিবিদ্ধ সব্জি ব্যবসায়ী আনসার আলি বলেছেন, ‘‘তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর অনুষ্ঠান চলছিল ওকড়াবাড়ি বাজার এলাকায়। সেই সময় দুই পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। তখনই দূর থেকে একটি গুলি এসে আমার হাতে লাগে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement