TMC and CPM Clash

১০০ দিনের কাজ নিয়ে চায়ের দোকানে তরজা, তৃণমূল এবং সিপিএমের সংঘর্ষে আহত মোট পাঁচ!

সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ বাহিনী। দুই পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৪ ১৩:৫০
Share:

হাসপাতালে আহতদের এক জন। —ফাইল চিত্র।

১০০ দিনের কাজে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল এবং সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হল পাঁচ জনকে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুরে একটি চায়ের দোকান থেকে ওই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। চায়ের দোকানে বসে সিপিএমের কয়েক জন কর্মী অভিযোগ করেন, কাজ না করেই ১০০ দিনের কাজের টাকা প্রাপকদের তালিকায় নাম রয়েছে তৃণমূল কর্মীদের। এই কথা শুনে চটে যান চায়ের দোকানে বসা তৃণমূল কর্মীরা। প্রথমে বাগ্‌বিতণ্ডা আর তার পরই শুরু হয় হাতাহাতি। একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন।

অভিযোগ, সিপিএমের এক পঞ্চায়েত সদস্য, তাঁর ছেলে এবং এক সিপিএম কর্মীকে মারধর করেন তৃণমূল কর্মীরা। পাল্টা সিপিএমের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছে তৃণমূল। এই ঘটনায় দুই পক্ষের আহত মোট পাঁচ জন।

Advertisement

সিপিএমের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য লতিপুর রহমানের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল কর্মী আলফাজ হোসেন এবং তার পরিবারের লোকেরা ১০০ দিনের কাজ করেননি। কিন্তু টাকার প্রাপকদের তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে। সেই ঘটনায় শনিবার রাত ৯টায় চায়ের দোকানে আলোচনা করছিলাম। সেই সময় আলফাজ হোসেনের (তৃণমূল কর্মী) পরিবারের লোকেরা চড়াও হয় আমার উপর। আমার ছেলে মিজানুর রহমান এবং শেখ আলম নামে আমাদের এক কর্মীকেও মারধর করা হয়।’’

স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই তিন জনেই এখন হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্য দিকে, মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কর্মী আলফাজ। তাঁর দাবি, ‘‘সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য লতিপুর রহমান সঙ্গে তাঁর অনুগামীরা আমার পরিবারের দুই সদস্য আলাউদ্দিন এবং মইদুলকে মারধর করেছেন। তাঁরা ১০০ দিনের কাজ করেছিলেন বলেই তালিকাতে নাম রয়েছে। ব্লক থেকে সেটা ভেরিফিকেশন হয়েছে।’’

ওই সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ বাহিনী। দুই পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। রবিবারও উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement