প্রতীকী ছবি।
আইনরক্ষার দায়িত্বে যাঁরা, তাঁদের মদতেই চলছে জুয়ার আসর। মালদহে এমনই অভিযোগ পাঁচ সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই পাঁচ জনকেই সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে আরও তিন জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে কর্মবিরতিতে পাঠানো হয়েছে। যদিও ওই পাঁচ জনের দাবি, তাঁরা ষড়যন্ত্রের শিকার।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত শনিবার প্রশাসনের লিখিত নির্দেশের ভিত্তিতে লাতিবউদ্দিন, মহম্মদ নুর আলম, কামরান আলি, ছোটন পোদ্দার, জীবন পোদ্দার— এই পাঁচ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে এক বছরের জন্য কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মানিকচকের নাজিরপুর খয়েরতলা এলাকায় লক্ষ্মীপুজোয় এঁদের মদতেই জুয়ার আসর বসেছিল বলে দাবি প্রশাসনের। এ ছাড়া, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে তপন সাহা এবং সুকান্ত মণ্ডল নামে দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার বরখাস্ত হয়েছেন তিন মাসের জন্য। সুকান্ত মণ্ডল নামে আরও এক সিভিক ভলান্টিয়ারকেও একই অভিযোগে এক মাসের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, খয়েরতলা এলাকায় প্রতি বছর ঘটা করে লক্ষ্মীপুজো হয়। পুজোকে কেন্দ্র করে জাঁকজমক মেলাও বসে। অভিযোগ, বহু বছর আগে এই মেলায় বসত জুয়ার আসর। তাতে লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়া খেলা হত। তবে কয়েক বছর ধরে মানিকচক পুলিশের চাপে জুয়ার আসর উঠে যায়।
চলতি বছরেও মানিকচক থানার আইসি অক্ষয় পালের কড়া নির্দেশ ছিল, মেলায় যেন জুয়ার আসর না বসে। অভিযোগ, কর্তব্যরত কয়েক জন সিভিক ভলান্টিয়ারের মদতে গত মাসে ফের জুয়ার আসর বসে। চলে লক্ষ লক্ষ টাকার খেলা। তার ভিডিয়ো ফুটেজও ছড়িয়ে পড়ে নেটমাধ্যমে। যা হাতে পান আইসি। ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত পাঁচ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনি। ঘটনাটি জেলা পুলিশ-প্রশাসনকে জানানোর পর তা নিয়ে অন্তর্তদন্ত অভিযোগ প্রমাণিত হয় বলে সূত্রের খবর।
অভিযুক্ত পাঁচ জনের দাবি, তাঁরা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। মেলায় জুয়ার আসর বন্ধ করতে গিয়েছিলেন। তবে তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে। একই মত মেলা কমিটিরও। তাঁদের দাবি, চলচি বছর মেলায় কোনও জুয়ার আসরই বসেনি। তাদের অযথা বদনাম করার চেষ্টা চলছে। তবে গোটা ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে মালদহ জেলা পুলিশ।