স্থায়ী ভবনের মতো হবে সার্কিটের রং, আদলও

পূর্ত দফতরের তৈরি মডেল অনুযায়ী, স্থায়ী ভবনটি তৈরি হচ্ছে তৃতীয় বন্ধনী শুরুর বাহুর আকারে। প্রশাসনিক ভবনে এজলাশ, প্রধান বিচারপতি এবং অন্য বিচারপতিদের দফতর ও হাইকোর্টের যাবতীয় অফিস থাকবে।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৫২
Share:

নতুন ভবনের মডেল।

কলকাতা হাইকোর্টের মূল ভবনের আদলে এবং রঙে তৈরি হচ্ছে জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবন। স্থায়ী ভবন তৈরির পরে সার্কিট বেঞ্চ হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ হিসেবে ঘোষণা হবে বলে রাজ্যের আইন বিভাগ সূত্রের খবর। স্থায়ী বেঞ্চের পরিকাঠামো রেখেই তৈরি হচ্ছে ভবন। পূর্ত দফতর সম্প্রতি নতুন ভবনের মডেল প্রকাশ্যে এনেছে। হাইকোর্টের চূড়ান্ত অনুমোদনের পরেই সেটি প্রকাশ করা হয়েছে। ভবন তৈরির জন্য চারটি বড় মাপের নির্মাণ সংস্থা দরপত্র জমা দিয়েছে। সংস্থাগুলিকে নতুন ভবনের মডেলের ছবি দিয়েছে পূর্ত দফতর। মডেল অনুযায়ী স্থায়ী ভবনের সামনে একটি জলাশয় থাকবে। চারপাশে থাকবে বাগান। জলাশয়ের পাশ দিয়ে যাওয়া রাস্তা ধরে ভবনের মূল দরজায় ঢোকা যাবে। হাইকোর্টের মূল ভবনের সদর দরজার উপরে যেমন ত্রিভুজাকৃতি স্তম্ভ রয়েছে, জলপাইগুড়িতে স্থায়ী ভবনেও তেমনটাই থাকবে।

Advertisement

পূর্ত দফতরের তৈরি মডেল অনুযায়ী, স্থায়ী ভবনটি তৈরি হচ্ছে তৃতীয় বন্ধনী শুরুর বাহুর আকারে। প্রশাসনিক ভবনে এজলাশ, প্রধান বিচারপতি এবং অন্য বিচারপতিদের দফতর ও হাইকোর্টের যাবতীয় অফিস থাকবে। প্রশাসনিক ভবনের একপাশ দিয়ে এবং পিছনে বিচারপতিদের আবাসন থাকবে। খেলার মাঠ, সাড়ে তিনশো দর্শক বসতে পারেন এমন অডিটোরিয়াম, সুইমিং পুল, বাগান এবং কর্মীদের আবাসনও থাকবে এক চত্বরে। আবাসনগুলির রং সাদা বা অন্য হলেও স্থায়ী ভবনের বাইরের দিকে থাকবে ইটের মতো, হলুদ এবং নীল রং। ভবনের ভিতরে থাকবে সাদা এবং হলদে রং।

পাঁচতলা স্থায়ী ভবনে অন্তত দশটি কোর্ট রুম হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রধান বিচারপতি ছাড়া মোট ১৫ জন বিচারপতির বাংলো তৈরি হবে স্থায়ী ভবন চত্বরে। এই পরিকাঠামোয় নিয়মিত বেঞ্চ বসতে সমস্যা হবে না বলেই দাবি। বর্তমানে মাসে গড়ে ১৫ দিন বেঞ্চ বসে।

Advertisement

মডেল চূড়ান্ত হলেও কবে কাজ শুরু করা যাবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। প্রথমবার টেন্ডার বাতিল হয়ে যাওয়াতেই বিপত্তি বলে পূর্ত দফতরের দাবি। প্রথম টেন্ডারটিতে মাত্র দু’টি সংস্থা অংশ নেওয়ায় তা বাতিল হয়ে যায়। দ্বিতীয়বার টেন্ডারে চারটি সংস্থা অংশ নিয়েছে। পূর্ত দফতরের উত্তরবঙ্গ নির্মাণ সার্কেল-২ এর অধীক্ষক বাস্তুকার সুব্রত হাইত বলেন, “আগ্রহী সংস্থাগুলির সঙ্গে কারিগরী দিক নিয়ে কথা চলছে। এরপর দরপত্র খোলা হবে। দ্রুত কাজ শুরুর চেষ্টা চলছে।” জলপাইগুড়িতে অস্থায়ী ভবনে এখন সার্কিট বেঞ্চের কাজ চলছে। সেই ভবনের পরিকাঠামো পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি। তাই দ্রুত স্থায়ী ভবনে কাজ শুরু করতে চাইছে হাইকোর্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement