Chopra Lynching Case

ধরা পড়েনি জেসিবি-সঙ্গী গির

গোটা এলাকায় পুলিশি-তল্লাশি চলেছে। তবে নতুন করে আর কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Advertisement

অভিজিৎ পাল

চোপড়া: শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪ ০৮:১৪
Share:

যুবক-যুবতী নিগ্রহ-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তাজিমুল ইসলাম।

চোপড়ায় যুবক-যুবতী নিগ্রহ-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি গ্রেফতার হলেও তার সঙ্গী হিসাবে উঠে এসেছে যার নাম, সেই গির আলম এখনও অধরা। ঘটনার পরে ডাঙাপাড়ার গির আলমের আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ছবি (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছিল। শুক্রবার ফের এলাকায় যান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। ‘নির্যাতিতদের’ পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন দলের সদস্যেরা।

Advertisement

গোটা এলাকায় পুলিশি-তল্লাশি চলেছে। তবে নতুন করে আর কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গির আলমকে এখনও গ্রেফতার করতে না পারা নিয়ে এ দিন জেলা পুলিশ সুপার জবি টমাস বলেন, ‘‘ওই যুবকের খোঁজ চলছে। তার ছবিটি কত পুরনো এবং কোনও মামলা রয়েছে কি না, সে সবও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ স্থানীয় সূত্রে দাবি, সম্পর্কে গির জেসিবির ভাইপো এবং এলাকায় নানা অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে দাবি। প্রকাশ্যে গির-প্রসঙ্গে বা তার কার্যকলাপ নিয়ে মুখ খুলতে না চাইলেও গির এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে টাকা আদায় করত বলেই দাবি স্থানীয়দের একাংশের। দিগলগাঁও ও ডাঙাপাড়ায় এ দিনও ছিল পুলিশ পিকেট। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের টহলদারি ভ্যানও ছিল এলাকায়। দিনভর বৃষ্টির মধ্যে বিকেলে ফের এলাকায় পৌঁছয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দল। ডাঙাপাড়ার ‘নির্যাতিতদের’ বাড়িতে গিয়ে দলটি নানা তথ্য সংগ্রহ করে।

কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এ দিন রায়গঞ্জে চোপড়ার ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘‘সন্দেশখালির যখন ঘটনা ঘটেছিল তখন বলেছিলাম এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বাংলার আইন-শৃঙ্খলা অবনতির একটি ছোট্ট পরিচয়। সেই সন্দেশখালির জায়গা থেকে সারা বাংলার মানুষ আতঙ্কিত হয়। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার ঘটনার তিন দিন পরে সমাজ মাধ্যমের দৌলতে জানা গেল। এই মধ্যযুগীয় বর্বরতা তৃণমূলের আমলে চলছে।’’ চোপড়ার ঘটনা নিয়ে সুকান্ত এ দিন বলেন, ‘‘প্রকাশ্যে ‘কাপল্’কে মারধর করার ভিডিয়ো দেখে কি পুলিশ প্রশাসনের লজ্জা হ‌য় না! নাকি কালীঘাটে গিয়ে সে সব বিক্রি করে দিয়ে এসেছেন! আরাবুল, সাজাহান, জাহাঙ্গিরের মতো পাতি মাস্তানদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতা বানিয়েছেন। ভোটের সময় সন্ত্রাসে কাজে লাগাতে তাদের খেপ খাটান। অন্য সময় মানুষ পিটিয়ে, ভয় দেখিয়ে, তোলাবাজি করে তাদের চলে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement