মঙ্গলবার তাঁরা জলপাইগুড়ি এসেছেন। বুধবার দিল্লি ফিরে যাওয়ার আগে জাতীয় শিশু সুরক্ষা আয়োগের দুই প্রতিনিধি জানিয়ে গেলেন, শিশু পাচার সংক্রান্ত তদন্তে তাঁরা স্থানীয় প্রশাসনের কোনও সহায়তা পাননি।
প্রিয়াঙ্ক কানুনগো এবং যশোবন্ত জৈন মঙ্গলবারই দেখা করতে গিয়েছিলেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে। কিন্তু দেখা হয়নি। এর পরে বুধবার তাঁরা কয়েকটি হোম ঘুরে দেখেন। পরে দিল্লি ফিরে যাওয়ার আগে তাঁরা দাবি করেন, শিশু পাচার তদন্তে তাঁরা কোনও নথিই চেয়ে পাননি রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকে। তবে এখন কোনও নথি না পেলেও নিজেদের সাংবিধানিক ক্ষমতায় তাঁরা সেই সব তথ্য রাজ্যের কাছ থেকে পরে সংগ্রহ করে নেবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
এই নিয়ে জেলা প্রশাসনিক নেতৃত্ব অবশ্য বিশেষ কিছু বলতে চাননি। জলপাইগু়ড়ির জেলাশাসক রচনা ভকত বলেন, ‘‘সদস্যদের এক জন লিয়াজোঁ অফিসার থেকে শুরু করে সরকারি গাড়ি— সবেরই ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন৷ কিন্তু ওঁরা কোন তথ্য বা কাগজপত্র চেয়েছেন কি না, তা আমার জানা নেই৷’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টাই সিআইডি-র তদন্তাধীন। তাই এখানে আমার বিশেষ কিছু বলার নেই।’’
প্রিয়াঙ্ক ও যশোবন্ত এ দিন ময়নাগুড়ির দোমহনিতে একটি বেসরকারি ছাত্রাবাসে যান। যেখানে প্রায় ত্রিশ জন শিশু-কিশোর থাকে৷ কিন্তু অব্যবস্থা দেখে ওই ছাত্রাবাসটি এদিন বন্ধের নির্দেশ দেন তাঁরা৷ অভিযোগ, জরুরি কাগজপত্রও দেখাতে পারেননি হোমের মালিক। পরে সেই হোম মালিক বলেন, ‘‘মূলত চা বাগানের দুঃস্থ ছেলেমেয়েদের জন্যই ছিল এই হোমটি। অনুদানেই চলতো। সরকারের কাছে আবেদনও করেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা মঞ্জুর হয়নি।’’ মনে করা হচ্ছে, শিশু পাচার সংক্রান্ত অভিযোগ আসার পরে কোনও রকম অব্যবস্থাই আর বরদাস্ত করতে রাজি নন জাতীয় শিশু সুরক্ষা আয়োগ। তাই ছাত্রাবাসটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।