এই ধান ক্রয়কেন্দ্রেই এসেছিলেন জেলাশাসক। ছবি: সংগৃহীত।
ধান ক্রয়বিক্রয়ে কোনও দুর্নীতি হচ্ছে না তো? সরেজমিনে তা খতিয়ে দেখতে সরাসরি ধান ক্রয়কেন্দ্রে হাজির হয়েছিলেন জেলাশাসক। সঙ্গে ছিলেন মহকুমাশাসকও। তাঁর জন্য বরাদ্দ সরকারি গা়ড়িতে চড়ে নয়, ছিল না সঙ্গে কোনও নিরাপত্তারক্ষী বা পুলিশ, একেবারে সাদামাঠা কৃষকের বেশেই হাজির হয়েছিলেন জেলাশাসক।
পরনে লুঙ্গি, মলিন জামা এবং মাথায় গামছা বেঁধে নিজেই ট্র্যাক্টর চালিয়ে ওই ধান ক্রয়কেন্দ্রে হাজির হয়েছিলেন জেলাশাসক। শুধু তাই-ই নয়, কেউ যাতে ঘুণাক্ষরেও তাঁকে চিনতে না পারেন, তাই অন্য কৃষকদের সঙ্গে ধান কেনার জন্য লাইনেও দাঁড়িয়ে পড়েন। ধান কেনার জন্য কুপনও নেন। একটু দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন মহকুমাশাসক। ধান ক্রয়বিক্রয়ে কোনও রকম দুর্নীতি হচ্ছে কি না, বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে কি না বা ধানের গুণমান কেমন, সব নজরে রাখছিলেন জেলাশাসক।
তাঁর সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করেন কোনও দুর্নীতি হচ্ছে কি না বা তাঁদের কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে কি না। তা ছাড়া ওই কেন্দ্রের কর্মীদের আচরণ সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন জেলাশাসক। এক ঘণ্টা ধরে সব কিছু নজরদারি চালান তিনি। এই সময়ের মধ্যে কেউ আঁচ করতে পারেননি স্বয়ং জেলাশাসক ভিড়ে মিশে রয়েছেন। তিনি নিজে যখন পরিচয় দেন তখন সকলে স্তম্ভিত হয়ে যান। ঘটনাটি ছত্তীসগঢ়ের সরগুজা জেলার।
জেলাশাসক বিলাস ভোসকর কৃষকের বেশে ধান ক্রয়কেন্দ্রে হাজির হয়েছিলেন। পরিচয় প্রকাশ্যে আসার পর তিনি ওই কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে সতর্ক করে যান, কোনও রকম দুর্নীতি যেন না হয়। যদি সেই অভিযোগ ওঠে তা হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। জেলাশাসকের এই ভূমিকা নিয়ে জোর চর্চা চলছে ছত্তীসগঢ়ে।