দার্জিলিঙে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ছবি: ফেসবুক
পাহাড়ি পরিবারের মেয়েকে বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির বউ করে আনছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার দার্জিলিঙের সভা থেকে নিজেই এ কথা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার পাহাড়ে চা বাগান কর্মীদের উন্নয়নে তাঁর সরকার কী কী প্রকল্প করেছে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, ২৫০টি চা বাগানে তিন হাজারের বেশি পরিবারকে ‘চা সুন্দরী’ প্রকল্পে বাড়ি বানিয়ে দেবেন তাঁরা। আগে দিনে ৬৭ টাকা মজুরি ছিল চা বাগান কর্মীদের। তাঁর সরকারের আমলে মজুরি হয়েছে ২০২ টাকা। আগে চা বাগান বন্ধ হলে ছ’মাস পর ৫০০ টাকা করে পেতেন কর্মীরা। এখন দু’মাসের মধ্যে দেড় হাজার টাকা পান। হেল্থ কার্ড, রেশন, বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেয় তাঁর সরকার। বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘দিল্লির লাড্ডুর প্রয়োজন নেই। পাহাড়ের মানুষের দরকার দার্জিলিং, মিরিক, কালিম্পঙের লাড্ডু। যা আছে প্রচুর আছে। এমন ট্যালেন্ট আর কারও নেই। শিক্ষা, সংস্কৃতি—সবেতেই পাহাড় এগিয়ে।’’ আবার পাহাড়কে কেন্দ্র বঞ্চনা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা কেন হল না, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা।
এর পর পাহাড়ের মানুষের ভূয়সী প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘গতকাল (রবিবার) আমি এখানকার চারটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলুন ১০ বছর ঝগড়া করব না। দেখবেন কোথায় যায় পাহাড়ের উন্নয়ন। আর আমি চাই মহিলারা এগিয়ে আসুন। যে বাড়িতে মহিলারা খুশি থাকেন সে পরিবার খুশি থাকবে।’’ মমতা আরও বলেন, ‘‘পাহাড়ের মেয়েদের হাসি কাঞ্চনজঙ্ঘার হাসির মতো। পাহাড়কে বাড়ির মেয়ের মতো আমি সহযোগিতা করব।’’ দার্জিলিঙের প্রতি তাঁর মুগ্ধতা নিয়ে বলতে গিয়ে মমতা জানান, পাহাড়ের মেয়েকে বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির বউমা করছেন তাঁরা।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘আমাদের পরিবারের একজনের বিয়ে দিচ্ছি... পাহাড়ের পরিবারের একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছে। পাহাড়কে ভালবাসি, তাই পাহাড়ের মেয়েকে ঘরের বউ করে আনছি। আপনাদের বাড়ি আমার বাড়ি। এখন আমার বাড়ি আপনাদের বাড়ি।’’
তবে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের কোন সদস্যের জন্য পাহাড়ি মেয়ের সঙ্গে বিয়ের সম্বন্ধ হয়েছে, তা খোলসা করেননি তিনি।