বাড়িতেই পুকুর তৈরি করে ছট আরাধনা। শুক্রবার, ,কালিয়াগঞ্জে। —নিজস্ব চিত্র
করোনার বিধিনিষেধ মেনেই দুই দিনাজপুরের বিভিন্ন নদীর ঘাটে ছট উৎসব পালন করলেন হিন্দিভাষী মানুষজন। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ-সহ জেলার বিভিন্ন নদীর ঘাটে ঘাটে ছিল পূন্যার্থীদের ভিড়। দক্ষিণ দিনাজপুরের ছবিও প্রায় একই। তবে ছট ঘিরে দুই জেলার কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই। নজর কেড়েছে কালিয়াগঞ্জে একটি বাড়িতে কৃত্রিম পুকুর তৈরি করে ছটের আরাধনা।
বিহার ঘেঁষা হওয়ায় উত্তর দিনাজপুরে হিন্দিভাষী বহু মানুষ বসবাস করেন। সেই কারণেই ছট ঘিরে এই জেলায় উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকে প্রতি বছরই। এ বছর করোনা আবহ থাকলেও বিধিনিষেধ মেনে ছট আরাধনায় খামতি ছিল না। জেলা সদর রায়গঞ্জে দুপুর থেকেই দলে দলে ছট পুজোর উপাচার নিয়ে ভিড় জমাতে শুরু করেন কুলিক নদীর ঘাটে ঘাটে। বন্দরঘাট, সুভাষগঞ্জ, কাঞ্চনপল্লী ও খরমুজা ঘাটে বিকেল হতেই ভিড় বাড়ে। তবে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ থাকায় এ বছর নদীর ঘাটগুলিতে ভিড় অনেকটাই কম। জেলার অন্যান্য প্রান্তেও একই উদ্দীপনায় ছট আরাধনায় মেতেছেন পূন্যার্থীরা।
রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ও রায়গঞ্জ পুরসভা ছট পূন্যার্থীদের সহায়তায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ঘাটের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। এ ছাড়া কোভিড বিধি মানা হচ্ছে কি না, তার উপর নজরদারি চালিয়েছেন পুরসভা ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ কল্যাণের, আলোচনার সঙ্গে কি দল কঠোর হচ্ছে
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীর সদরঘাট এবং কংগ্রেস ঘাটে ছট পুজোর বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। মূলত অবাঙালিদের পুজো হলেও অনেক সাধারণ মানুষও পুজো দেখতে ভিড়় জমিয়েছিলেন। নদীর ধারে ডালা-কুলো ফলমূল সাজিয়ে সূর্য প্রণাম সারেন বহু মানুষ। জেলার অন্যত্রও ছট ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল। পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীর ঘাটগুলিতে নজরদারি চলেছে। বাড়ানো হয়েছিল নিরাপত্তাও।
আরও পড়ুন: রাজ্যে ৩৫৬? জল্পনা উস্কে দিলেন দিলীপ, ‘হিম্মত’ থাকলে করে দেখাক: ব্রাত্য
তবে দুই জেলার সামগ্রিক এই ছবির মধ্যে ব্যতিক্রম উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ শহরের প্রসাদ পরিবার। করোনার সংক্রমণ এড়াতে নদীর ঘাটে যাওয়ার পরিবর্তে বাড়ির উঠোনেই কৃত্রিম পুকুর বানিয়ে সূর্যদেবের আরাধনা সারেন পরিবারের সদস্যরা। সেই পুজো দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন আশপাশের মানুষজন। এমন অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে জেলা প্রশাসনও।