মাথায় গামছা, কাপড় ঢেকে সভায় সমর্থকেরা। নিজস্ব চিত্র
শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় পর্যাপ্ত বসার জায়গা না থাকায় চৈত্রের প্রখর রোদের মধ্যেই ঘণ্টার পরে ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হল সভায় আসা বিজেপির নেতা-কর্মীদের। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ শহরের প্রতিবাদ ক্লাব মাঠে বুধবার সভা শুরুর আগে, বসার চেয়ার নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। শেষে মঞ্চ থেকে কর্মীদের শান্ত থাকার বার্তা দেন জেলা নেতৃত্ব। স্বেচ্ছাসেবকেরা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। বিজেপির দাবি, সভায় এ দিন ১০ হাজারের বেশি মানুষের ভিড় হয়েছিল। তবে পুলিশ সূত্রের দাবি, ভিড় ছিল সাত হাজারের কাছাকাছি।
এ দিন বেলা ২টোর পরে সভা শুরু হলেও, শুভেন্দু মঞ্চে ওঠেন বিকেল ৪টে নাগাদ। বক্তব্যের গোড়াতেই কর্মীদের শুভেন্দু বলেন, ‘‘সময়ের অনেক আগেই আপনারা এসেছেন। ১ টা ৪০ মিনিটে আমি সভাস্থলের ছবি পেয়েছিলাম। বেলা ২টোয় ডাকা সভার আগেই পৌঁছে সভাস্থল ভরিয়ে দিয়েছেন আপনারা। ৪টে বাজে, দু’ঘণ্টা ধরে নেতা-নেত্রীদের বক্তব্য শুনেছেন। আপনাদের সকলকে সম্মান নিবেদন করি।’’
মাঠের ধারে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক রাখা থাকলেও সভাস্থলে পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা ছিল না বলে এ দিন দাবি করেন সভাস্থলে আসা বিজেপি কর্মীদের একাংশ। দলের স্বেচ্ছাসেবকেরা জলের কিছু বোতল নিয়ে আসতেই তা নিতে কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে যায় সভাস্থলে। প্রখর রোদে মাথায় কাপড় দিয়ে মহিলাদের, মাথায় গামছা দিয়ে পুরুষদের নেতা-নেত্রীদের বক্তব্য শুনতে দেখা যায়। কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরের বৃদ্ধ অনতি দেবশর্মা, বাঘনের পল্টু বর্মনেরা বলেন, ‘‘শুভেন্দুদার ২টোয় আসার কথা ছিল। আমরা এসেছি প্রায় সাড়ে ১২টা নাগাদ। শুভেন্দুদা বলতে উঠলেন ৪টের পরে। ভিড়ের মধ্যে অত ক্ষণ ঠাসাঠাসি, জলের অভাবে অস্বস্তি হয়েছে।’’ জেলা বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, ‘‘৩৫ হাজার স্কোয়্যার ফুটের প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছিল। গোটা প্যান্ডেল জুড়ে বসার চেয়ারের ব্যবস্থা ছিল। বসার চেয়ার ভর্তি হওয়ায় সামিয়ানার বাইরে আরও অনেকেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। রোদে না দাঁড়িয়ে অনেকেই আবার আশপাশের গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।’’ তবে সামিয়ানাআরও বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল বলে মেনেছেন তিনি।