চৈতালি মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র।
দায় কার? কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় দোষারোপ এবং পাল্টা দোষারোপের পালা চলছে। মালগাড়ির চালক এবং সহ-চালকের বিরুদ্ধে জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করেছেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের এক যাত্রী। এমনটা জানিয়েছে জিআরপি। কিন্তু চৈতালি মজুমদার নামে ওই যাত্রী দাবি করলেন তিনি এমন কোনও অভিযোগই করেননি। আহত ওই যাত্রীর দাবি, জিআরপিতে অভিযোগের বিষয়ে কোনও ধারণাই নেই তাঁর। তিনি দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শিলিগুড়ি লেকটাউনের বাসিন্দা চৈতালি সোমবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে কলকাতা যাচ্ছিলেন। তার মধ্যেই ফাঁসিদেওয়ায় ঘটে যায় দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার জিআরপি থেকে জানানো হয়, চৈতালি মালগাড়ির চালক এবং সহ-চালকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু ওই যাত্রী সে কথা অস্বীকার করছেন। তিনি বলেন, ‘‘গত কাল দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েক জন মিলে আমাকে ট্রেন থেকে বার করে। তার পর আমি দেখতে পাই যে ঠিক কী ঘটেছে, যার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হল। দুর্ঘটনার পর আমার শারীরিক এবং মানসিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে, বাড়িতে ফোন করে সমস্ত ঘটনার কথা জানাই। বাড়ির লোক আমাকে সেখান থেকে রেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে পুলিশ এসে বিভিন্ন সময় জিজ্ঞাসাবাদ করে। আমার বয়ান ভিডিয়ো রেকর্ডিংও করে।’’ চৈতালির দাবি, সোমবার সন্ধ্যার দিকে বেশ কয়েক জন পুলিশ এসে একটি কাগজে আমার স্বাক্ষর নেয়। আমি যাঁদের চিনি না, তাঁদের বিরুদ্ধে আমি কেনই বা অভিযোগ করতে যাব?’’
অন্য দিকে, চৈতালির এই অভিযোগ নিয়ে জিআরপির সুপারিনটেন্ডেন্ট অফ রেলওয়ে পুলিশ এস সেলভা মুরগানের দাবি, অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই যাত্রী। তিনি বলেন, ‘‘উনি নিজে আমাদের কাছে অভিযোগ জমা করেছেন। তার সম্পূর্ণ তথ্যপ্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে।’’ পুরো বিষয়টি নিয়ে দানা বাঁধছে রহস্য।