সরেজমিনে আবাস প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। — নিজস্ব চিত্র।
জরিফ শেখ। পেশায় কাঠমিস্ত্রি। মালদহের কালিয়াচক-২ ব্লকের বাঙ্গিটোলা এলাকার বাসিন্দা। নিজস্ব দোতলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও জরিফের নাম উঠেছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের তালিকায়।
কুলেশ মণ্ডল। পেশায় রেলকর্মী। চরিঅনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। কুলেশেরও নাম উঠেছে সরকারি বাড়ির তালিকায়।
শুক্রবার এমনই সব ব্যক্তিদের বাড়িতে পৌঁছে গেল কেন্দ্রীয় সরকারের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। ডেপুটি সেক্রেটারি পদমর্যাদার আধিকারিক শক্তিকান্ত সিংহ, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার চাহাত সিংহ এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেকশন অফিসার গৌরব আহুজা কথা বলেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। বাড়ির মালিকদের সঙ্গেও কথা হয় তাঁদের। আবাস যোজনায় দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে মালদহে এসেছেন তিন কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিনিধি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় তাঁরা বিভিন্ন জায়গা ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট তৈরি করছেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া, অতিরিক্ত জেলাশাসক বৈভব চৌধুরী। প্রশাসনের দাবি, জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রথম তালিকায় ১ লক্ষ ৬৭ হাজার নাম ছিল। প্রথম দফার বাছাইয়ে প্রায় ২৮ শতাংশ নাম বাদ গিয়েছে। এর মধ্যে ঘর প্রাপকদের নামের তালিকাও তৈরি। এ বার সেই তালিকাই সরেজমিনে ঘুরে খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা।
শুক্রবার সারা দিনই মালদার বিভিন্ন বিধানসভা এলাকার ঘুরে ঘুরে পরিস্থিতি জরিপ করবেন। ৭ জানুয়ারি মালদহ থেকে দলটি দিল্লি ফিরবে। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাগডোগরা হয়ে মালদহে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় দল। মালদহের নিউ সার্কিট হাউসে তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তার পর জেলাশাসক এবং অতিরিক্ত জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। শুক্রবার সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে পৌঁছন তাঁরা।