ময়নাগুড়ির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে দাঁড়িয়ে সিবিআই আধিকারিকদের গাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এ বার কি জড়াতে চলেছে ময়নাগুড়ি-জলপাইগুড়ির নাম! না অন্য কোনও তদন্তের সূত্র ছড়িয়ে রয়েছে ময়নাগুড়িতে?
বৃহস্পতিবার দিনভর ময়নাগুড়িতে সিবিআইয়ের একটি দলের গতিবিধির জেরে এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে। এ দিন সিবিআইয়ের দুই সদস্যের একটি দল ময়নাগুড়ির এক প্রাথমিক শিক্ষকের বাড়ি, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যঙ্ক এবং রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়েছিল। সূত্রের দাবি, ময়নাগুড়ি থেকে বেরিয়ে দলটি জলপাইগুড়িতে এসেছে। ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যঙ্কের জলপাইগুড়ির শাখাতে আজ, শুক্রবার যেতে পারে সিবিআই।
এ দিন ওই দলে থাকা সিবিআইয়ের দুই সদস্যের কেউই মুখ খুলতে চাননি। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ময়নাগুড়ি শাখার তরফে সিবিআই অভিযানের কথা স্বীকার করা হলেও, সিবিআই কী জানতে চেয়েছে বা কোনও নথি চেয়েছে কি না তা নিয়ে ব্যাঙ্কের কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। অন্য দিকে, রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে সিবিআইয়ের দলটি কয়েকটি জমি কেনাবেচার বিষয়ে তথ্য চেয়েছে বলে খবর।
সিবিআইয়ের দলটি ময়নাগুড়ির এক শিক্ষকের বাড়িতে গিয়েছিল। বাড়ির বাসিন্দাদের সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করে বলে সূত্রের দাবি। তার পরে, ওই শিক্ষক এবং তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে পৌঁছয় সিবিআই। সূত্রের দাবি, ব্যাঙ্কের কিছু লেনদেন খতিয়ে দেখা হয়। তার আগে, রেজিস্ট্রি অফিসে জমি সংক্রান্ত খোঁজ খবর নিয়েছে দলটি।
একটি সূত্রের দাবি, অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার চক্রের হদিস পেতেই সিবিআইয়ের দলটি এসেছে। চাকরি দেওয়ার নাম করে তোলা টাকা দিয়ে একাধিক জমি কিনে রাখা হয়েছে কি না, তা-ও সিবিআই খতিয়ে দেখছে বলে দাবি। যে শিক্ষকের বাড়িতে এ দিন সিবিআই গিয়েছিল, তিনি ব্যাঙ্ক থেকে বেরোনোর সময় কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পরে, তাঁর মোবাইল বন্ধ ছিল। আবার অন্য একটি সূত্রের দাবি, এ দিন প্রতারণার একটি অভিযোগের তদন্তে গিয়েছিল সিবিআই।