মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে সিবিআই। ছবি সংগৃহীত।
সিবিআইয়ের ঝটিকা সফরের পরদিনও জল্পনা অব্যাহত মেখলিগঞ্জে। রবিবারেও গুম হয়ে রয়েছে আপাত শান্ত মহকুমা শহরটি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে শনিবার মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে আসেন এক সিবিআই আধিকারিক। স্কুল ভবনে তিনি অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন। কথা বলেন তৎকালীন পরিচালন কমিটির সভাপতি বাবলি ঘোষ, প্রধান শিক্ষিকা তথা স্কুলের পরিচালন কমিটির সম্পাদক রঞ্জনা রায় বসুনিয়া, তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অনিমেষ দেবনাথ ও পরিচালন কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে।
অভিযোগ উঠে আসে, কাউন্সেলিং তালিকায় ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নাম না থাকলেও পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতাকে সেখানে নিয়োগ করা হয়। বাড়ির কাছের স্কুলে তাকে শিক্ষিকা পদে যোগ দেওয়াতে তড়িঘড়ি পদ তৈরি করা হয় বলেই অভিযোগ। সে সময়ে মোট পাঁচটি পদের অনুমোদনের আবেদন করা হয়। তিনটির অনুমোদন মেলে। তাতেই ২০১৮-র ২৪ নভেম্বর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দেন অঙ্কিতা।
সূত্রের খবর, সেই নিয়োগের মেমো নম্বর, অ্যাপ্রুভাল নম্বর, তারিখ সংগ্রহ করেন সিবিআই আধিকারিক। কোনও প্রভাবশালীর মদতে সেই পদ তৈরি হয়েছে কিনা, দেখা হয়। কয়েকজনের বয়ানে তিনি সন্তুষ্ট হননি বলেই দাবি। আবার তাঁদের ডাকা হতে পারে বলেও জানানো হয় সিবিআইয়ের তরফে।
এ দিকে, সিবিআই চলে গেলে মেখলিগঞ্জে রটে যায়, জেরার পরে একজনকে গ্রেফতার করা হয়ছে। খোঁজ শুরু করে পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী। যদিও জানা যায়, ওই ব্যক্তি বাড়িতেই রয়েছেন। কোচবিহার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মাও জানান, ‘‘গ্রেফতারির খবর নেই।’’ আবার জেরার পরে ‘অসুস্থ’ রয়েছেন বলে দাবি করা হয় রঞ্জনা রায় বসুনিয়া ও বাবলি ঘোষের তরফেও। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি তাঁরা।
হাইকোর্টের নির্দেশে ২০২২-এর ২০ মে দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত হন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা অঙ্কিতা অধিকারী। তাঁর জায়গায় ৪ জুলাই যোগ দেন ববিতা সরকার। অভিযোগ, পরেশ অধিকারী তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই অপেক্ষমানদের ক্রমিক তালিকায় আগে চলে যান অঙ্কিতা অধিকারী। পরে অঙ্কিতা মেখলিগঞ্জের স্কুলে যোগ দেন। পরেশ ও অঙ্কিতা এ দিনফোন ধরেননি।