—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দেশের অন্দরে চায়ের বাজার ছড়়িয়ে দিতে টি-বোর্ড তথা চা পর্ষদের কোনও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপই নেই বলে তীব্র সমালোচনা করা হল সিএজি রিপোর্টে। চা পর্ষদের এক কর্তা বলেন, ‘‘রিপোর্ট দেখে, তার পরে যা বলার বলা হবে।’’
কেন্দ্রীয় সংস্থা সিএজি গত পাঁচটি আর্থিক বছরে দেশের চা সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় শীর্ষ নিয়ামক সংস্থা চা পর্ষদের কাজকর্ম নিয়ে অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্টের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনও সিএজি প্রকাশ করেছে। যার ছত্রে ছত্রে টি-বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সিএজি রিপোর্ট অনুযায়ী, চায়ের গুণগত মান পরীক্ষা থেকে শুরু করে দাম নিয়ন্ত্রণে যা-যা করার কথা, কার্যত তার কিছুই করেনি টি-বোর্ড। দেশের চা বাগিচাগুলির কী হাল, তারও কোনও তথ্য নেই টি-বোর্ডের কাছে।
২০১৬-১৭ আর্থিক বছর থেকে টি-বোর্ডের কাজকর্ম খতিয়ে দেখেছে সিএজি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের কোথায় কোথায় এই সময়কালে নতুন চা বাগান তৈরি হয়েছে, কোথায় পুরনো চা বাগানের সম্প্রসারণ হয়েছে, কোন বাগিচা কত পুরোনো, সেখানে কত উৎপাদন হচ্ছে, নতুন চা গাছ কোথায় লাগানো হয়েছে— এ সবের কোনও তথ্যই টি-বোর্ডের কাছে নেই। প্রশ্ন উঠেছে, চা বাগান সংক্রান্ত এই সব সাধারণ এবং মৌলিক তথ্য যদি টি-বোর্ডের কাছে না থাকে, তা হলে চা নিয়ে নতুন নীতি প্রণয়ন হবে কী করে?
সে প্রশ্ন উস্কে দিয়েছে দেশে চায়ের উৎপাদনের শতাংশ কমে যাওয়ায়। ২০১৬-১৭ সালে প্রতি হেক্টরে ২,১৬৫ কেজি সবুজ চা পাতা পাওয়া যেত, তা কমে ২,০১৬ কেজি হয়েছে বর্তমানে। উৎপাদনের হারের এই কমে যাওয়াকে সিএজি অত্যন্ত সমালোচনা করেছে। তার কারণ হিসাবে চা গাছের বয়স হয়ে যাওয়াকে দায়ী করেছে সিএজি। সেখানেও ঘুরে ফিরে টি-বোর্ডের গবেষণার ঘাটতির কথাই তুলে ধরেছে সিএজি রিপোর্ট।
দাম নিয়ন্ত্রণে টি-বোর্ডের ভূমিকা থাকলেও, গত পাঁচ বছরে অসমে এ নিয়ে একটিও বৈঠক করেনি টি-বোর্ড, এ রাজ্যে যা হয়েছে তা-ও নগণ্য, পর্যবেক্ষণ সিএজি’র।
চা কারখানাগুলিতে পরিদর্শন থেকে চা পাতার নমুনা পরীক্ষা, সবেতেই টি-বোর্ড যতটা করা উচিত, সে কাজ করতে পারেনি বলে সমালোচনা হয়েছে রিপোর্টে।