পাহাড়ে পর্যটকের ভিড় বাড়ার আশা ব্যবসায়ীদের। —ফাইল চিত্র
ট্রেন পরিষেবা বিপর্যস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছিল বুকিং বাতিলের পালা। ডুয়ার্স, দার্জিলিংয়ের একাধিক হোটেল এবং প্যাকেজ ট্যুরের বুকিং বাতিল হয়ে গিয়েছিল বলে পর্যটন সূত্রে খবর। কিন্তু গত দু’দিন থেকে সেই অবস্থার খানিকটা সামলানো গিয়েছে বলে দাবি করছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের একাংশ। তাই বড়দিনের মুখে স্লগ ওভারে ভিড় বাড়বে বলে আশা পর্যটন ব্যবসায়ীদের। রাজ্য সরকারের তরফেও এই সময় শিলিগুড়ি শহর সাজাতে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে।
শীতের মরসুমে পর্যটক-আগমন শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তিন দিন সব ট্রেন বাতিল থাকায় এবং তার পরেও মূলত উত্তরবঙ্গের ট্রেনগুলি অনিয়মিত থাকায় অনেকেই বুকিং বাতিল করতে শুরু করেন বলে দাবি পর্যটনমহলের। বিশেষ করে ২০ ডিসেম্বর থেকে পরের তিন দিনের অনেক বুকিং বাতিল হয়ে যায়। তার আগের দিনগুলিতে ট্রেন বিভ্রাটে বেশির ভাগ পর্যটক আসতেই পারেননি। বস্তুত, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বরেও স্পষ্ট করে জানা যায়নি, ডুয়ার্সগামী কাঞ্চনকন্যা বা তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস কবে থেকে চালু হবে। রেলও হলফ করে কিছু জানায়নি। বরং ২০ তারিখ তারা এই দু’টি ট্রেন বাতিলই রেখেছে।
শিলিগুড়ির পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘ট্রেন পরিষেবার উপর পর্যটকদের অনেকটাই নির্ভর করে। তাই ট্রেন না চললে যেমন তা এসএমএস করে জানানো হয়, তেমনি ট্রেন চললেও তার যাত্রীদের কাছে সঠিক সময়ে যাওয়া উচিত। তা না হলে আতঙ্কেই অনেকে বড় দিনের বুকিং বাতিল করে দেন।’’ তবে কয়েকটি ট্রেন চালু হওয়ায় পর্যটকমহলে আশা জেগেছে, মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ, বুকিং বাতিলেও আপাতত রাশ টানা হয়েছে। ডুয়ার্সে যাওয়া নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে ঠিকই, কিন্তু ট্রেন পরিষেবা কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় পর্যটকেরা আবার যোগাযোগ শুরু করেছেন বলে ব্যবসায়ীদের দাবি।
এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বড়দিনকে সামনে রেখে শিলিগুড়িকেও সাজিয়ে দিতে চাইছে প্রশাসন। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘আমরা উৎসবের কথা মাথায় রেখে এই সময়টা পর্যটকদের জন্য বিশেষ কিছু আকর্ষণের ব্যবস্থা করে থাকি।’’