—প্রতীকী চিত্র।
এলাকার মানুষের কাছে শান্ত শহর বলে পরিচিত ইসলামপুর। অথচ শহর থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার দূরে মাদারিপুরে ঘটে গেল ‘শুটআউট’। ধাবায় গুলিতে খুন হলেন শাসক দলের নেতা বাপি রায়। যিনি আবার ইসলামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা লিপি রায় বিশ্বাসের স্বামী। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও এক জন। তিনি রামগঞ্জ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রিজওয়ানা খাতুনের স্বামী সাজ্জাদ হোসেন। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাতেই। তবে কি দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে ইসলামপুর? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। অনেকেরই দাবি, এক সময় রায়গঞ্জ ও চোপড়ায় এই ধরনের গুলির ঘটনা শোনা যেত। এখন ইসলামপুরের নামও তার সঙ্গে যুক্ত হল।
মাদারিপুরের ধাবায় গুলি-কাণ্ডে উদ্বিগ্ন পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইলাল আগরওয়ালও। দুষ্কৃতীরা কেউ ধরা পড়ল কিনা তা জানতে, তাঁকে বারবার পুলিশ সুপারকে ফোন করতেও দেখা যায়। কানাইয়া বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা ইসলামপুরে আগে হয়নি। পুলিশের নজরদারি বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।’’
শনিবার রাতে বাপি রায়কে গুলি করার পর এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। তখন সামান্যর জন্য প্রাণে বাঁচেন ওই ধাবার মালিক বিজয় গুপ্তাও। তিনি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঠিক যেন সিনেমার কায়দায় দুষ্কৃতীরা খুন করে গুলি চালিয়ে মোটরবাইক নিয়ে পালিয়ে গেল। ঘটনার পর থেকে ধাবার মালিক বিজয় আতঙ্কিত। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার মাদারিপুর-সহ শ্রীকৃষ্ণপুর, ইসলামপুরের অনেক ধাবা, চায়ের দোকান রাত ন’টার মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়। ইসলামপুর মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দামোদর আগরওয়াল বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টাই ব্যবসায়ী মহলের কাছে খুব উদ্বেগ ও আতঙ্কের।’’ সিপিএমের উত্তর দিনাজপুর জেলা কমিটির সদস্য বিকাশ দাস বলেন, ‘‘সত্যিই খুব উদ্বেগের বিষয়। আমরা চাই অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হোক।’’ বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলার সহ সভাপতি সুরজিৎ সেন বলেন, ‘‘ইসলামপুরে এই ঘটনা নতুন নয়। কয়েক মাস আগে ইসলামপুরে এক যুবকের বাড়িতে ঢুকে তাঁর গলা কেটে খুন করে দুষ্কৃতীরা। আবার ইসলামপুর সংলগ্ন মাটিকুণ্ডার রাস্তায় এক যুবককে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে খুন করা হয়। এলাকার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক।’’ তবে জেলার এক পুলিশ কর্তা দাবি করেন, ওই দু’টি ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয় দুু’টি বিচারাধীন।