ব্যবসায়ী খুনের প্রতিবাদে পথ অবরোধে স্থানীয়রা। — নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহারের তুফানগঞ্জের বলরামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কামাত শেওড়াগুড়ি এলাকায় স্থানীয় এক ছানা ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য। পরিবারের দাবি, ছানা ব্যবসায়ী সুব্রত ঘোষ যখন বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় বলরামপুর রোডের উপর তাঁর রাস্তা আটকে তাঁকে খুন করা হয়।
পরিবারের দাবি, রাত ১১টা নাগাদ পরিবারের লোকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন সুব্রত। তার পর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ নেই। পরে রাস্তার উপরে তাঁর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। দেহের পাশেই পড়ে ছিল সুব্রতের বাইকটিও। রাতেই তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। রাস্তা আটকে ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে কামাত শেওড়াগুড়ি এলাকায় পথ অবরোধ করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দারা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। এর জেরে এলাকায় ব্যাপক যানজট ছড়িয়ে পড়ে। পরে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে। পুলিশের আশ্বাসে ঘণ্টাখানেক পর অবরোধ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দারা।
মৃত ছানা ব্যবসায়ীর বাড়ি নাজিরহাটের গাওচুলকা কৃষ্ণনগরে। মৃতের দাদা সুখেনচন্দ্র ঘোষের দাবি, রাস্তায় কলাগাছ ফেলে রাস্তা আটকে তাঁর ভাইকে খুন করা হয়েছে। যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় ব্যবসায়ী সুদর্শন গোপ সরকার বলেন, ‘‘সুব্রতকে যে ভাবে খুন করা হয়েছে তা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার করতে হবে।’’ স্থানীয় সূত্রে খবর, সুব্রত বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে ছানা সরবরাহ করতেন। কী কারণে তাঁকে এ ভাবে খুন করা হল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। যদিও পুলিশ এ ব্যাপারে এখনও কিছু জানায়নি।
কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর ৩২ বছরের সুব্রত ঘোষের দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।