খুন হওয়া তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর এবং তাঁর খুনের অব্যবহিত পর গ্রামের বাড়ি বাড়ি আগুন ধরানো হয়। (বাঁ দিক থেকে)। ফাইল ছবি।
বদলি করা হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার আইসি রাকেশ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে বারুইপুর গোয়েন্দা পুলিশের আধিকারিক পার্থসারথি পালকে।
জয়নগরে সম্প্রতি সইফুদ্দিন লস্কর নামে এক তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় মোট তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তার মধ্যেই আইসি বদলি। যদিও রাজ্য প্রশাসন বলছে, এটা রুটিন বদলি। শুক্রবার জয়পুর থানার আইসি রাকেশকে যেমন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে বদলি করা হয়েছে, তেমনই ওই কমিশনারেটেই কর্মরত তাপসকুমার নস্করকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে টিটাগড় থানার।
অন্য দিকে, টিটাগড় থানার আইসি সমিত মণ্ডলকে বদলি করা হয়েছে বীরভূমে। আবার বীরভূম থেকে ইনস্পেক্টর পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানায় আইসি করে।
উল্লেখ্য, জয়নগরকাণ্ডে ধৃত দুই ব্যক্তিকে জেরা করতে শুক্রবার বারুইপুর থানায় যান এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত এবং ডিআইজি (প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ) আকাশ মাঘারিয়া। সেখানে ছিলেন পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালিও। এ ছাড়া তদন্তকারী দলের সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ, এসডিপিও অতীশ বিশ্বাসও সেই সময় থানায় ছিলেন। আনিসুর রহমান লস্কর এবং কামালউদ্দিন ঢালি নামে দুই ধৃতকে দীর্ঘ জেরার পর তাঁরা থানা থেকে বেরোন তাঁরা।
এ নিয়ে পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র জানান, ধৃতদের ১১ দিনের পুলিশ হেফাজত পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে তদন্তে অনেক অগ্রগতি হবে। তাঁর সংযোজন, ‘‘এই ঘটনায় আরও সাত- আট জন জড়িত থাকতে পারে।’’ তবে খুনের কারণ রাজনৈতিক নাকি ব্যক্তিগত, এ নিয়ে এখনই তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জানান, তদন্ত চলছে। এ নিয়ে এখনই আর বেশি কিছু বলা যাবে না।