এনআরসি, জিএসটি-র জোড়া কোপ ব্যবসায়

২০১৭ সালের ১ জুলাই ভারত সরকার চালু করে জিএসটি। যার ফলে জোড়াই এবং অসম মোড়ে কমারশিলায় ট্যাক্স প্রদান করতে হচ্ছে না বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা পণ্যবাহী গাড়িগুলোকে।

Advertisement

সঞ্জীব সরকার

তুফানগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৪৩
Share:

ছবি: সংগৃহীত

অসম বাংলা সীমান্তের জোড়াই ও অসম মোড়ের প্রায় চার হাজার ব্যবসায়ী এক রকম কর্মহীন। অভিযোগ জিএসটি চালু হওয়ার পর কাউকে ভিন্ রাজ্যে গিয়ে কাজ করতে হচ্ছে বা চালাতে হচ্ছে টোটো বা অটো।

Advertisement

২০১৭ সালের ১ জুলাই ভারত সরকার চালু করে জিএসটি। যার ফলে জোড়াই এবং অসম মোড়ে কমারশিলায় ট্যাক্স প্রদান করতে হচ্ছে না বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা পণ্যবাহী গাড়িগুলোকে। একবারে জিএসটি কেটে চলে যাচ্ছে উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন জায়গায়।

আবার ৩১ অগস্ট অসমে এনআরসি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়। তার প্রভাবও পড়েছে তুফানগঞ্জ, বক্সিরহাটের ব্যবসায়। নামনি অসমের কোকরাঝাড়, ছোট গুমার মতো জায়গা থেকে অনেকেই বেচাকেনার জন্য তুফানগঞ্জ, বক্সিরহাটে আসতেন। কিন্তু এনআরসি-র তালিকা প্রকাশের পরে ওই এলাকার অনেকের নাম না থাকায় তার প্রভাব পড়েছে। তাঁরা বিচলিত। তাই বেচাকেনা বা অন্য যে সব কাজে তাঁরা সীমানা লাগোয়া এই এলাকাগুলোতে আসতেন, তা বন্ধ করে দিয়েছেন।

Advertisement

এই দুই মিলিয়ে অসম বাংলা সীমান্তের বক্সিরহাট এবং অসম মোড়ে ও জোড়াই মোড়ে এলাকায় ব্যাবসা মন্দা। চার হাজারের উপরে লোক কর্মহীন। সেই সঙ্গে এলাকার ব্যবসা দিন দিন বন্ধ হয়ে আসছে বলেও অভিযোগ। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শারোদৎসবের আর এক মাসও বাকি নেই। কিন্তু জমে উঠছে না বাজার। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বারের মতো এ বারও দোকান ভরা। কিন্তু খদ্দের এ বার এখনও নেই। বড় লোকসানের আশঙ্কা তাই কাটছে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement