এক জোড়া বিতর্কে পুরপ্রধান

প্রথমে দলের জেলা সভাপতিকে পুজোর উদ্বোধনে ডেকে এনে কার্যত তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলার অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বুনিয়াদপুর শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৩৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুজোর মধ্যেই চরম বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন বুনিয়াদপুরের পুরপ্রধান তৃণমূলের অখিল বর্মণ।

Advertisement

প্রথমে দলের জেলা সভাপতিকে পুজোর উদ্বোধনে ডেকে এনে কার্যত তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলার অভিযোগ। পরদিনই বিজেপি নেতার পুজো পরিক্রমার ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে জল্পনা উস্কে দিয়েছেন। অখিলেরএই দু’টি কাণ্ড দল যে মোটেই ভাল চোখে নেয়নি, তা স্পষ্ট জানিয়েও দিয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

প্রথমটি ষষ্ঠীর দিনের ঘটনা। বুনিয়াদপুর পুরসভা সংলগ্ন পীরতলার একটি পুজোর উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানো হয় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষকে। আমন্ত্রণ রক্ষা করতে অর্পিতা অনুগামীদের নিয়ে নির্ধারিত সময়েই মণ্ডপে উপস্থিত হন। কিন্তু সেখানে পুরপ্রধান অখিল বা শহরের কোনও কাউন্সিলরই তখন মণ্ডপে ছিলেন না। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও দলের অখিলদের না দেখতে পেয়ে উষ্মা প্রকাশ করে অর্পিতা চলে যেতে উদ্যত হতেই হন্তদন্ত হয়ে অখিল উদ্বোধনস্থলে এসে পৌঁছন। তার পরে তিনি অর্পিতাকে ফিতে কেটে পুজোর উদ্বোধন করতে অনুরোধ করেন। ওই অনুরোধে শেষে রাজি হয়ে ফিতে কাটতে এগিয়ে যান অর্পিতা। কিন্তু ফিতে কাটার কোনও কাঁচি রাখা ছিল না সেখানে। অভিযোগ, কাছেই একটি পানের দোকান থেকে পান কাটার কাঁচি এনে ফিতে কাটেন অর্পিতা। এর পরেই অখিলের উপরে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে অর্পিতা অখিলকে বলেন, ‘‘আমাকে আর কোনওদিন এখানে ডাকবেন না।’’

Advertisement

এর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই অধুনা বিজেপি নেতা বিপ্লব মিত্রের ছবি শেয়ার করেন অখিল। বিপ্লব অনুগামীদের নিয়ে পুজো পরিক্রমায় বেরিয়েছিলেন। সেই ছবি তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন। অভিযোগ, বিপ্লবের সেই পুজো পরিক্রমার ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেন অখিল। যা নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে। বিতর্ক বাড়তেই অবশ্য তড়িঘড়ি ফেসবুক থেকে সেটা মুছে দেন অখিল।

অখিলের বক্তব্য, "আমি ফেসবুক চালাতে জানি না। আমার বাড়ির ছেলেরা আমার ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করে। তাদের মাধ্যমেই কোনও ভাবে সেই ছবি শেয়ার হয়ে যায়। পরে আমি জানতে পেরে একজনকে দিয়ে সেটা মুছেও দিয়েছি। যেহেতু আমার ফোন থেকে এটা হয়েছে কাজেই দায়ভারটা আমারই।’’ তৃণমূলে থাকাকালীন বিপ্লবের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন অখিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement