HP Ghosh Hospital

পেটে ব্যথার কারণ গলস্টোন নয় তো? বিশদে জানালেন এইচপি ঘোষ হাসপাতালের চিকিৎসক অতীন্দ্রিয় বিশ্বাস

প্রচুর মানুষ পিত্তথলিতে পাথর অর্থাৎ গলস্টোন জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন। এর ফলে যে সমস্যা বেশি দেখা যায়, তা হল হজমের গোলমাল, পেটে ব্যথা, গ্যাস অথবা অম্বল। ভারতীয়দের খাদ্যাভ্যাস যে ধরনের, তাতে এরকম উপসর্গ লেগেই থাকে।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:২২
Share:

চিত্র: সংগৃহীত (প্রতীকী চিত্র)

পেটে ব্যথা ও হজমের সমস্যায় ভোগেন বেশির ভাগ মানুষই। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের জেরে এই সমস্যা খুবই সাধারণ। কিন্তু অনেক সময়েই দেখা যায় পেট ব্যাথা, হজমের সমস্যা নিয়মিত বাড়তে থাকছে। সে ক্ষেত্রে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি।

প্রচুর মানুষ পিত্তথলিতে পাথর অর্থাৎ গলস্টোন জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন। এর ফলে যে সমস্যা বেশি দেখা যায়, তা হল হজমের গোলমাল, পেটে ব্যথা, গ্যাস অথবা অম্বল। ভারতীয়দের খাদ্যাভ্যাস যে ধরনের, তাতে এরকম উপসর্গ লেগেই থাকে। কিন্তু অনেক সময়েই এই সাধারণ উপসর্গগুলির নেপথ্য কারণ হয়ে উঠতে পারে পিত্তথলির পাথর। দীর্ঘদিন ধরে ভুগতে থাকলে এই গলস্টোন থেকে অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা এড়ানোর একমাত্র উপায় হল যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যাওয়া এবং পরামর্শ নেওয়া।

গলস্টোন বা পিত্তথলির পাথর এড়াতে কী কী করবেন? আলোচনায় চিকিৎসক অতীন্দ্রিয় বিশ্বাস

গলস্টোন থেকে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে যা ডেকে আনতে পারে বিপদ। এ বিষয়ে সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এইচ পি ঘোষ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট চিকিৎসক অতীন্দ্রিয় বিশ্বাস বলেন, “গলস্টোন ছোট হতে পারে, আবার বড়ও হতে পারে। যদি ছোট গলস্টোন হয়, তা হলে তা অনেক সময়ে পিত্তথলি থেকে পিত্তনালিতে পড়ে গিয়ে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তার থেকে জন্ডিস, প্যাংক্রিয়াটাইটিস হতে পারে। যদি বড় স্টোন হয়, তা হলে তার থেকে গলব্লাডারে পুঁজ হতে পারে, যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় এমপাইমা বলা হয়।”

এটি খুবই কষ্টকর একটি অবস্থা। এর জন্য ইমার্জেন্সি অস্ত্রোপচারও করতে পারে। তাই উপসর্গ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গলস্টোনের চিকিৎসা করা উচিত। চিকিৎসক বিশ্বাসের কথায়, "এখনকার দিনে প্রায় ৯৯ শতাংশ অস্ত্রোপচার বা তারও বেশি ল্যাপ্রোস্কোপি পদ্ধতিতে হয়। পেটে ৩ থেকে ৪টে ছোট ছোট ফুটো করা হয়। তার মধ্যে দিয়ে ক্যামেরা ও যন্ত্রপাতি ভিতরে ঢুকিয়ে অপারেশন হয়ে যায়। আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা সময় লাগে এই ধরনের অস্ত্রোপচারে। রোগী পরদিনই বাড়ি চলে যান।”

তবে দীর্ঘদিন যদি গলস্টোন ফেলে রাখা হয়, তা হলে তা থেকে সামান্য হলেও ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩৬৬৩৪৬৬৩৪

বিশদে জানতে ভিজ়িট করুন: https://hpghoshhospital.com/

এই প্রতিবেদনটি ‘এইচপি ঘোষ হাসপাতাল’—এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন