প্রতীকী ছবি।
মালদহের শবদলপুর বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হল এক যুবকের। সোমবার ভোরে ওই যুবকের মৃতদেহ পড়েছিল ওই সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার পাশে। বিএসএফের দাবি, মৃত ওই যুবক বাংলাদেশি। রবিবার রাতে সে বাংলাদেশে গরু পাচারের চেষ্টা করছিল। বিএসএফের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে কালিয়াচক থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত ওই যুবকের নাম মহম্মদ দুলাল (২০)। বাড়ি চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার কিরণগঞ্জে। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মালদহ জেলায় বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে ১৮০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। এই দীর্ঘ এলাকার মধ্যে গরু পাচারের অন্যতম করিডর কালিয়াচক-৩ ব্লকের শবদলপুর সীমান্ত। অভিযোগ, এই সীমান্ত পথে দেদারে কাশির সিরাপও বাংলাদেশে পাচার হয়। এই পথেই বাংলাদেশের দিক থেকে এপারে পাচার করা হয় জাল নোট। সীমান্তে প্রহরারত বিএসএফের জওয়ানদের এড়িয়ে এই পাচারের কারবার চলে বলে অভিযোগ। বিএসএফের ২৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে বাংলাদেশের দিক থেকে আসা কয়েকজন পাচারকারী কাঁটাতারের বেড়া কেটে এপার থেকে ওপারে গরু পাচারের চেষ্টা করছিল। সঙ্গে এপারেরও কিছু পাচারকারী ছিল। কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানরা তাদের সতর্ক করে এবং বাধাও দেন। মালদহের দিকের পাচারকারীরা গরু ছেড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু বাকি পাচারকারীরা কাঁটাতারের বেড়া কেটে গরুগুলোকে ওপারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। বিএসএফ জওয়ানদের লক্ষ করে ইট-পাটকেলও ছোড়ে। সেইসময় বিএসএফ বাংলাদেশি পাচারকারীদের লক্ষ করে গুলি চালায়। তাতে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটি কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে বাংলাদেশের দিকে ভারতীয় ভূখণ্ডেই পড়েছিল।
জেলা পুলিশের ডিএসপি বিপুল মজুমদার বলেন, ‘‘সোমবার সকালে বাংলাদেশ সীমান্তের শবদলপুর গ্রাম থেকে গুলিবিদ্ধ এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই যুবক বাংলাদেশি এবং গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত। বিএসএফের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’