পাহারা। মেখলিগঞ্জের বাংলাদেশ সীমান্তে। ছবি: তাপস রায়।
সীমান্তে কড়া নজরদারির পরেও ঘটছে অনুপ্রবেশ। রবিবার হলদিবাড়িতে এক বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেফতার হওয়ার পরে উঠছে এমনই প্রশ্ন। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তে ‘ইনফ্রারেড ইনট্রুডার অ্যালার্ম’ ব্যবস্থায় নজরদারি শুরু করা করেছে।
রবিবার উন্মুক্ত সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বাংলাদেশের এক নাগরিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, কুয়াশার সুযোগ নিয়ে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের দক্ষিণ বেরবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্মুক্ত সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন ওই বাংলাদেশি।
এমন পরিস্থিতিতে মেখলিগঞ্জ সীমান্তেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ওই সীমান্ত দিয়ে কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে জিনিস ওপারে ছুড়ে পাচারের অভিযোগ বারবার উঠেছে। কাঁটাতারের বেড়া কেটেও পাচারের একাধিক অভিযোগ সেখানে উঠেছে। সেই সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে আগে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। কয়েকটি জায়গায় ‘নাইটভিশন ড্রোন ক্যামেরা’ দিয়েও নজরদারি চালানো হচ্ছে।
বিএসএফ জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে মেখলিগঞ্জ সীমান্তের মতো উন্মুক্ত সীমান্তের কয়েকটি জায়গায় ‘ইনফ্রারেড ইনট্রুডার অ্যালার্মও’ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিএসএফের জলপাইগুড়ি সেক্টরের ৪০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের আওতাধীন কুচলিবাড়ি পঞ্চায়েতের কলসীপাড়া, বিআরকে বাড়ি-সহ কয়েক কিলোমিটার সীমান্তে ওই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি নির্দিষ্ট দূরত্বে বসানো হয়েছে ওই যন্ত্র।
বিএসএফ জানিয়েছে, ওই যন্ত্র থেকে ‘ইনফ্রারেড আলো’ বার হয়। আপাতদৃষ্টিতে অদৃশ্য সেই আলোর রশ্মি কোনও প্রাণী বা বস্তুতে ‘বাধাপ্রাপ্ত’ হলে বিএসএফের শিবিরে থাকা স্বয়ংক্রিয় অ্যালার্ম বেজে উঠবে। তাতে সতর্ক হবেন জওয়ানেরা।
বিএসএফের জলপাইগুড়ি সেক্টরের ডিআইজি, ব্রিগেডিয়ার বিজয় মেহতা বলেন, ‘‘অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে নজরদারি চালাতে এই বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। তাতে যথেষ্ট সাফল্য মিলছে।’’ বিএসএফের স্থানীয় আধিকারিকেরা জানান, কুচলিবাড়ির প্রায় ১৭-১৮ কিলোমিটার এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা ও বিশেষ সেই নজরদারি ব্যবস্থায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। বাকি এলাকাগুলিতেও তা বসানো হবে।