—প্রতীকী চিত্র।
বিএসএফের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তুফানগঞ্জে। তুফানগঞ্জ থানার বলরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাজার এলাকার ঘটনা। স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ৫০ থেকে ৬০ জন গুলিতে আহত হয়েছেন। সকলকেই কোচবিহার এনএন হাসপাতালে এবং বেসরকারি নার্সিং হোমে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। মন্ত্রীর বিধানসভা এলাকা বলরামপুর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার জেরে গ্রামবাসীরা পাঁচজন বিএসএফকে জওয়ানকে আটক করেন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে এসে বলরামপুর পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়। এরপর পুলিশ ফাঁড়ি ঘিরে রাখে ক্ষুব্ধ জনতা। পরে সকলকে হটিয়ে দেয় পুলিশ।
এই ঘটনার জন্য বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বিজেপি সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে রয়েছেন কোচবিহার জেলায়। মন্ত্রী অভিযোগ তোলেন, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহার জেলায় এলেই এমন ঘটনা ঘটে। বিএস এফের সঙ্গে যোগসাজশ করে তিনি স্থানীয় অসহায় গ্রামবাসীদের ওপর এমন অত্যাচার করছেন ওই এলাকায়। মন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ‘ক্রিমিনাল’। পুলিশের উচিত তাঁকে গ্রেফতার করা। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়গুলো নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাব।’’
রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলছেন, করোনা এক্সপ্রেস করে পরিযায়ী শ্রমিক আসছেন। সেনাবাহিনীর উপর তাঁদের কোনও ভরসা নেই। সেনাবাহিনী নবান্নে আক্রমণ করতে আসবে। এমন কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নিজেই একজন ক্রিমিনাল। সঙ্গে ক্রিমিনাল ক্রিমিনাল নিয়ে ঘুরে বেড়ান। এই মন্ত্রীর বিষয়ে আমার বিশেষ কিছু বলবার নেই।’’
বলরামপুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ছালেমা বিবি জানান, মদ্যপ অবস্থায় হঠাৎ করে বিএসএফ এলাকায় গুলি চালায়। তাঁদের ঘরের জিনিসপত্র ও টাকা লুট করে নিয়ে গিয়েছে। কোচবিহার পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বালকার বলেন, ‘‘এদিনের ঘটনায় আমাদের একজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছাড়া হয়েছে। আমরা নজর রাখছি। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’