সংঘর্ষের পরে। নিজস্ব চিত্র।
এনজেপিতে ট্রেনে জল দেওয়ার ঠিকা শ্রমিক নিয়োগের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষে জখম হলেন দু’পক্ষের মোট ৪ জন। ঝামেলা থামাতে গিয়ে জখম হন রেলসুরক্ষা বাহিনীর এক জওয়ান। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আইএনটিটিইউসি অফিস ভাঙচুরের পাল্টা অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে ওই ঘটনায় একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে এনজেপি থানা এবং রেল পুলিশের কাছে। ঘটনার পরে এলাকায় মিছিল করেন এলাকার বিধায়ক গৌতম দেব। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশবাহিনী। আইএনটিটিইউসি অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন দুই বিজেপি সমর্থক।
পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘আমাদের শ্রমিকরা কাজ হারালে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ হবে।’’
বৃহস্পতিবার থেকে ট্রেনে জল দেওয়ার সাব টেন্ডার পান বিজেপির শ্রমিক শাখার এনজেপির সভাপতি ধর্মরাজ রায়। এ দিন সকালে জল দেওয়ার সময় এনজেপি স্টেশন চত্বরে মিছিল করতে যায় আইএনটিটিইউসির কর্মীরা। বিজেপির অভিযোগ, ১ এ প্ল্যাটফর্মে বিজেপির সংগঠনের শ্রমিকদের উপর হামলা চালানো হয়। এক ঠিকাদারের কর্মী সিংহেশ্বর সাহানিকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি। ধর্মরাজকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সংঘর্ষে আরও দুই বিজেপি কর্মী আহত হন। জখম হন এক রেল সুরক্ষা জওয়ান। ধর্মরাজ বলেন, ‘‘ঠিকাদার কাকে কাজে রাখবে তা নিয়ে মারপিট গুন্ডামি কেন?’’ পরে এনজেপি স্টেশন চত্বরে আইএনটিটিইউসির দফতরে পুলিশের সামনেই বিজেপির সমর্থকরা পাল্টা ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। আহত হন তৃণমূলের শ্রমিক চন্দন সাহানি।
ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানানো হয়েছে রেল পুলিশ এবং শিলিগুড়ি পুলিশের তরফ থেকে।