—প্রতীকী চিত্র।
মা ও শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহের কৃষ্ণপল্লিতে। রেললাইনের ধারে ২৭ বছর বয়সি এক মহিলা ও তিন বছর বয়সের এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সাত সকালে এক প্রাতর্ভ্রমণকারী দেহ দু’টি দেখতে পেয়ে ইংরেজবাজার থানায় খবর দেন। এর পর রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম চুমকি গুপ্ত হালদার। তাঁর বাড়ি ইংরেজবাজার থানার নিউ বাঁশবাড়ি এলাকায়। স্বামী সুব্রত হালদার প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। চার বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, দীর্ঘ দিন ঘরে পারিবারিক বিবাদ চলছিল। মৃতার বাপের বাড়ির পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকেই চুমকির উপর মানসিক অত্যাচার শুরু হয়। তাঁকে বাপের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হত না। বাড়ি থেকেও বেরোতে দেওয়া হত না বলে অভিযোগ। চুমকির দাদা চিরঞ্জিৎ গুপ্ত বলেন, ‘‘দিন দশেক আগে বিয়েতে যৌতুক পাওয়া জিনিসপত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন চুমকির স্বামী। তার পর আজ সকালে দেহ মিলল।’’ চিরঞ্জিতের দাবি, তাঁর বোন আত্মহত্যা করতে পারে না। চুমকি ও তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে। মালদা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত।’’