সুজাপুরের প্লাস্টিক কারখানায় তদন্তে ফরেন্সিক দল। নিজস্ব চিত্র।
ফের বিস্ফোরণ সুজাপুরের প্লাস্টিক কারখানায়। ওই কারখানায় বৃহস্পতিবার হওয়া বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৬ জনের। গুরুতর জখম হন বেশ কয়েক জন। তার তদন্তের মধ্যেই শনিবার ফের ওই কারখানাতেই বিস্ফোরণের ঘটল। তবে কোনও হতাহতের খবর নেই। যদিও নতুন করে বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়ায় ওই এলাকায়।
এ দিন সকালে চিত্রাক্ষ সরকারের নেতৃত্বে একটি ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা যখন কারখানার ভাঙাচোরা মেশিন পরীক্ষা করছিলেন তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। চিত্রাক্ষ বলেন, “বিস্ফোরণের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। মেশিনের কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে কি না সে বিষয়টিও বলা সম্ভব নয়। নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ল্যাবে পরীক্ষা করার পর বিস্ফোরণের আসল কারণ জানা যাবে।” ফরেন্সিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মোটরের ভাঙা অংশ ল্যাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওই এলাকায় অন্য কারখানাগুলির মেশিনও পরীক্ষা করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার অনেক কারখানাতেই হাতে তৈরি মেশিন ব্যবহার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় ২০টি প্লাস্টিক কারখানা রয়েছে এলাকায়।
মোথাবাড়ির তৃণমূল বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “কারখানাগুলি কী ভাবে চলে সে তথ্য জানা দরকার। আইন মেনে এই কারখানাগুলো চলছে কি না তারও খোঁজ নেওয়া প্রয়োজন।” তাঁর অভিযোগ, আইন মেনে এই কারখানাগুলি চলছিল না। কেন আইন মানা হয়নি তা তদন্ত করা উচিত। অন্য দিকে, উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর অভিযোগ, ৭২ঘন্টা কেটে যাওয়ার পরও পুলিশ কোনও মামলা দায়ের করেনি। পুলিশ এই ঘটনার তথ্য গোপন করতে চাইছে বলেও তাঁর অভিযোগ।