—নিজস্ব চিত্র।
গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে চালু হওয়া রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রকল্পের বিরোধিতা বরাবরই করেছে বিজেপি। এ বার ওই প্রকল্পের বাস্তবিক কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় পাওয়া একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিজেপি বিধায়কের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে যে ভাবে ঢাকঢোল পেটায়, বাস্তব চিত্র তার চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। শঙ্করের এমন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরই পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।
তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় পাওয়া পরিসংখ্যা তুলে ধরে শঙ্কর জানান, গত বছরের ২ মে থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত দার্জিলিং এবং শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২,৭৮১ জন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা পেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিষেবা পেয়েছেন মাত্র ১৮ জন। তাঁর কথায়, ‘‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বা কেন্দ্রের আয়ুস্মান ভারত প্রকল্পগুলো ভাল। ব্যক্তিগত ভাবে আমি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সমর্থন করি। কিন্তু যে ভাবে বিজ্ঞাপন করা হয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা পাওয়া মানুষের সংখ্যা খুবই কম।’’
শঙ্করের এই মন্তব্যের জবাবে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী (সমতল) পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘ওঁরা মানুষের সঙ্গে থাকেন না। জানেনও না, কে সুবিধে পাচ্ছে আর কে পাচ্ছে না। যে বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবা নেই, সেখানে চিকিৎসা করাতে চাইলে তো আর হবে না। আবার বেড ফাঁকা না থাকলে সেখানেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা মিলবে। রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টের রিপোর্টে কী এসেছে, আমি জানি না। কিন্তু মিটিং-মিছিলে যেখানেই যাচ্ছি, সেখানেই মানুষ নিজে থেকে জানাচ্ছেন, তাঁরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা পাচ্ছেন।’’