ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জমি দখল করে বাজারভবন, বাড়ি তৈরির অভিযোগের কতটা প্রভাব পড়েছে জেলায়, জানতে চাইলেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীকে। এ দিন কলকাতায় বিজেপির সদর কার্যালয়ে বৈঠকটি হয়। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে জন বার্লা প্রসঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তৃণমূল সরকার কী শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই অভিযোগ এনেছে, নাকি এর পিছনে অন্য কিছু আছে, সে কথা জানতে চাওয়া হয়। বার্লার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে জেলা বিজেপির মতামতও জানতে চাওয়া হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা জুড়ে কী প্রভাব পড়েছে, বিশেষত জনজাতির লোকজনেরা কী ভাবছেন, সে কথাও জানতে চাওয়া হয় বলে দল সূত্রে খবর। বিজেপি সূত্রের দাবি, দীর্ঘ আলোচনার পরে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে জেলার কোনও নেতা যেন মুখ না খোলেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের তরফে একটি রিপোর্ট দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে পাঠানো হচ্ছে বলেও খবর।
সূত্রের খবর, আজ, শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের জেলা নেতাদের থেকেও জন বার্লা নিয়ে রিপোর্ট নেবে বিজেপির রাজ্য কমিটি। এ দিনও জন বার্লার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। জলপাইগুড়ি জেলায় লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে বার্লার বাড়ি ও বানারহাটের বাজারভবন, দুই নিয়েই জমি জট রয়েছে। দু’ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি নথিপত্রের অভাব রয়েছে বলে দল জানতে পেরেছে, দাবি বিজেপিরই একটি সূত্রের। এ নিয়ে কয়েক জন শীর্ষ আইনজীবীর সঙ্গেও বিজেপি নেতাদের কথাবার্তা হয়েছে বলে খবর।
এ দিনের বৈঠকে জেলায় সংগঠন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। মণ্ডলের বৈঠকে এবার থেকে রাজ্য নেতারাও উপস্থিত থাকবেন বলে এ দিন জানানো হয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরে জেলা বিজেপির পার্টি অফিস ভবনের নকশা অনুমোদন নিয়েও আইনি জট রয়েছে। সে জট যত দিন না খুলছে, অস্থায়ী পার্টি অফিস তৈরি করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। জেলা সভাপতিকে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।