মিছিলে সংখ্যালঘু মুখও চাইছে বিজেপি

সংখ্যালঘুদের অনেকেই যে তাঁদের পাশে রয়েছে, তা প্রমাণ করতে এবার মাঠে নেমেছে বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:৫৩
Share:

ছবি: সংগৃহীত

সংখ্যালঘুদের অনেকেই যে তাঁদের পাশে রয়েছে, তা প্রমাণ করতে এবার মাঠে নেমেছে বিজেপি। তাঁদের সেই প্রচারে হাতিয়ার হয়েছে একটি মিছিল, যেখানে দেখা যাচ্ছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বেশ কিছু মানুষ বিজেপির পতাকা নিয়ে মিছিল করছেন। তাঁরা নতুন নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে বলেও জানিয়ে দিচ্ছেন বলে দাবি বিজেপির।

Advertisement

কোচবিহারের তুফানগঞ্জের রামপুরের ওই মিছিলের ছবি এখন জেলা বিজেপি তো বটেই, রাজ্য ও কেন্দ্রের বিজেপি নেতাদের কাছেও হাতিয়ার হয়েছে। কৈলাস বিজয়বর্গীয় থেকে মুরলীধর রাও সেই ছবি টুইট করেছেন। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি আলি হোসেন বলেন, “আসলে কিছু মিথ্যে ও বিভ্রান্তকর কথা বলে মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা হচ্ছে। যাঁরা বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে জানছেন তাঁরা আমাদের পক্ষেই রয়েছেন।”

অসমের নাগরিক পঞ্জির তালিকা প্রকাশের পর থেকেই কোচবিহার তথা গোটা বাংলা জুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে একটি অংশের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। একের পর আত্মহত্যার ঘটনাতেও নাগরিক পঞ্জির আতঙ্কের অভিযোগ ওঠে। এই অবস্থায় তিনটি বিধানসভার উপনির্বাচনে একটিতেও সফল হতে পারেনি বিজেপি। এবারে নতুন নাগরিকত্ব আইন আসতেই সংখ্যালঘুদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়।

Advertisement

বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত

শাহ জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই আইন নিয়ে মুসলিমদের ভয়ের কোনও কারণ নেই। তাতেও কাজ হয়নি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ একাধিক এলাকায় রাস্তায় নামেন। বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও ওই নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছে। তাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের সমর্থনও মিলছে তাঁদের।

এই অবস্থায় বিজেপিও চুপ করে বসে নেই। তাঁরাও সংখ্যালঘুদের মধ্যে ঢুকে প্রচারের চেষ্টা করছে, এই আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। এই আইন শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। বিজেপি মনে করছে, গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ১৮টি আসন দখল করার পিছনে কিছুটা হলেও সংখ্যালঘুদের সমর্থন রয়েছে। বিশেষ করে কোচবিহারের মতো আসনে সংখ্যালঘুদের একটি বড় অংশ বিজেপির পক্ষেই ছিল বলে মনে করছেন একাধিক নেতা। রামপুর আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়লেও কোচবিহার জেলার অংশ। গত্ লোকসভা নির্বাচনের আগে ওই এলাকা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের দখলে ছিল। গত লোকসভা নির্বাচনের পরেই ওই এলাকা বিজেপি’র দখলে চলে যায়। সেখানেও সংখ্যালঘুদের একটি অংশ বিজেপির দিকে রয়েছে বলে দাবি। গত রবিবার সেই অংশের মানুষদের নিয়েই পথে নামে বিজেপি। যা জেলা বিজেপি নেতাদের কাছে একটি বড় জয় বলে মনে করেন তাঁরা।

বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বেশিদিন রাখা যায় না। তা আগেও প্রমাণ হয়েছে, এবারেও হচ্ছে। তাই সংখ্যালঘু মানুষরাও বিষয়টি বুঝতে পেরে পথে নেমেছে।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “সংখ্যালঘু এবং সংখ্যাগুরু কেউই বিজেপির সঙ্গে নেই। দেশে অশান্তি ডেকে এনেছেন যারা তাদের সঙ্গে মানুষ থাকবে না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement