প্রতীকী ছবি।
বিধানসভায় বিজেপি পাখির চোখ করেছে উত্তরের ৫৪টি আসনকে। তাই স্থানীয় সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়েই বিজেপি এগোতে চাইছে বলে দলীয় সূত্রে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে কোচবিহার, মালদহ এবং দুই দিনাজপুরের বিজেপি নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বিজেপি আইটিসেলের কেন্দ্রের প্রধান আমিত মালব্য। তিনি এ রাজ্যের সহকারি পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন। এদিন ছিলেন, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিব প্রকাশ। এই তিন জেলায় তপশিলি ভোট যে প্রধান তা রাজনৈতিক নেতাদের বোঝার বাকি নেই। ভোটের একটা বড় অংশ রয়েছে সংখ্যালঘু। সে সব বিষয়েও এদিন আলোচনা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
বিজেপির কেন্দ্রীয় সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে এসে সমাজের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। বিভিন্ন জনজাতি মানুষের নানা সমস্যার কথা শুনেছিলেন তিনি। এবার তাঁদের অভিযোগগুলিকে আরও প্রচারের আলোয় আনতে আসরে নামতে চলেছে বিজেপি।
কোচবিহার থেকে মালদহ এবং দুই দিনাজপুরে গরু পাচারের অভিযোগ মাঝেমঝেই উঠে। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দলের একাংশ নেতা এর সঙ্গে জড়িত। সেজন্য বাংলাদের সীমান্তের পাশের এই জেলাগুলিতে সে বিষয়ে প্রচারেও জোরদার করা হবে বলে জানান রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, "উত্তরবঙ্গের মানুষকে যেভাবে বঞ্চনা করা হচ্ছে সবগুলিই প্রচারের আলোয় আনা হবে।" দলের প্রাক্তন সভাপতিদেরও বৈঠকে ডাকা হয়েছে। দলের মধ্যে থেকে যাঁরা অভিযোগ তুলতে পাচ্ছেন না তাঁদের অভিযোগও কেন্দ্রীয় নেতারা শুনছেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
কোচবিহারের দীর্ঘদিনের নেতা হেমচন্দ্র বর্মণ থেকে অনিল মালাকাররা জেলায় নতুনদের কাছে দাম পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। এদিন হেমচন্দ্র বাবু বলেন, "যা জানতে চাওয়া হয়েছে সব বলেছি।"
অন্যদিকে মালদহ থেকে প্রাক্তন জেলা সভাপতিদের মধ্যে সুব্রত কুণ্ডু, উত্তর দিনাজপুরের নির্মল দাম, দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রণব চৌধুরী এবং শুভেন্দু সরকারের মতো নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।