BJP MLA

ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ কোচবিহারে, থানার সামনেই বিক্ষোভে বসলেন বিজেপি বিধায়ক

বিজেপি বিধায়কের দাবি, ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা হচ্ছে। বহু কর্মী ভয়ে ঘরছাড়া হয়েছেন। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, পুলিশকে জানিয়েও কাজ হচ্ছে না কিছুই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৪ ১৮:৪৮
Share:

ঘোকসাডাঙা থানার সামনে অবস্থানে বিজেপি বিধায়ক। — নিজস্ব চিত্র।

ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ নিয়ে শুক্রবারই পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কোচবিহারের বিজেপির বিধায়কেরা। জমা দিয়েছিলেন স্মারকলিপিও। শনিবার কার্যত একই দাবিতে কোচবিহারের ঘোকসাডাঙ্গা থানার সামনে অবস্থানে বসলেন মাথাভাঙার বিজেপির বিধায়ক সুশীলচন্দ্র বর্মন।

Advertisement

লোকসভা নির্বাচনের ফলঘোষণার পর দেখা যায় হেরে গিয়েছেন কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী তথা অমিত শাহের ‘ডেপুটি’ নিশীথ প্রামাণিক। বিজেপির অভিযোগ, তার পর থেকেই বিজেপি কর্মীদের উপর লাগাতার হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। মারধর করা হচ্ছে বিজেপি কর্মীদের। পুলিশ মিথ্যা মামলা দিচ্ছে বিজেপি কর্মীদের। প্রতিবাদে শনিবার ঘোকসাডাঙ্গা থানার সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান মাথাভাঙ্গার বিজেপি বিধায়ক সুশীল। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এবং বিজেপি কর্মীরা। বিজেপি বিধায়ক সুশীল বলেন, ‘‘বিজেপি কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হচ্ছে। ভাঙা হচ্ছে বিজেপির পার্টি অফিস। বিজেপি কর্মীদের বেছে বেছে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। ফলঘোষণার পর থেকেই বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যদের তৃণমূলে যোগদান করার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলে যোগদান না করলে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রতিকার চেয়ে তাই রাস্তায় বসেছি।’’

এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘‘সমস্ত মিথ্যা অভিযোগ। বিজেপি জিতলে হাজার হাজার তৃণমূল কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর করা হত। তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হত। এর মধ্যেই কয়েকশো খুন হয়ে যেত। আমরা বিজয় মিছিল পর্যন্ত করতে না করেছি কর্মীদের। কোথাও কোনও গন্ডগোল হচ্ছে না। যদি এই ধরনের একটিও ঘটনা ঘটে থাকে, তা হলে তাঁরা আমাকে জানান। একটিও ঘটনা তাঁরা দেখাতে পারবেন না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement