Nisith Pramanik

বিএসএফের ‘মারে’ মৃত্যুতে তোপে নিশীথ

সোমবার শীতলখুচির বড়মরিচায় জেলালের বাড়িতে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ ও তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কোচবিহার, মাথাভাঙা শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:১০
Share:

কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। — ফাইল চিত্র।

এ বার জেলাল মিয়াঁর মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক এবং দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করল তৃণমূল। শনিবার রাতে কোচবিহারের শীতলখুচির বাসিন্দা জেলাল মিয়াঁকে (৪৫) পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে বিএসএফের বিরুদ্ধে। কিছু দিন আগে, গীতালদহ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত প্রেমকুমার বর্মণের মৃত্যু নিয়েও আন্দোলনে নেমেছিল শাসক দল। বিজেপির পাল্টা দাবি, বিএসএফকে আক্রমণ করে চোরা কারবারিদের ‘উৎসাহিত’ করছে তৃণমূল।

Advertisement

জেলালের মৃত্যু নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পুলিশের কাছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সোমবার শীতলখুচির বড়মরিচায় জেলালের বাড়িতে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ ও তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ। এ দিন উদয়ন বলেন, ‘‘বিএসএফ ক্রমশ হত্যাকারীর রূপ নিচ্ছে। যারা আমাদের জীবন রক্ষা করবে, তারা কেন কথায় কথায় হত্যা করেছে তা নিয়ে ভাবা প্রয়োজন। গীতালদহ থেকে চৌধুরীহাট, সিতাই, শীতলখুচি— সর্বত্র একই ঘটনা ঘটছে। এ জন্যে বিএসএফের দায়িত্বে যাঁরা আছেন তাঁদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগের দাবি করছি আমরা।’’ তিনি বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দরবার করবেন বলে জানান। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘বিএসএফ সীমান্ত সুরক্ষার জন্যে রয়েছে। তাঁদের মনোবল ভাঙার জন্যে নানা কথা বলছে তৃণমূল নেতারা। দেশের সুরক্ষার কথা তারা ভাবছে না। চোরাকারবারের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের উৎসাহিত করছে। আমাদের মনে হয়, যারা এমন বলছে, তারাও ওই কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।’’

জেলাল স্থানীয় তৃণমূল কর্মী বলেও পরিচিত। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বলেন,‘‘জেলাল নিরীহ মানুষ। তিনি তৃণমুল কর্মীও। তাঁকে পিটিয়ে খুন করেছে বিএসএফ জওয়ানেরা। এমন মৃত্যুর বিরুদ্ধে সবাইকে সরব হতে হবে। যে দল এ সব করতে বিএসএফকে উৎসাহ দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও সোচ্চারহতে হবে।’’

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জেলাল দিল্লিতে শ্রমিকের কাজ করতেন। দিন আটেক আগে, তিনি বাড়ি ফেরেন। শনিবার ইফতার সেরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন তিনি। তার পরে আর বাড়ি ফেরেননি। রাতে একাধিক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও জেলালের হদিস পাওয়া যায়নি। রবিবার সকালে মাথাভাঙা হাসপাতালে জেলাল রয়েছেন বলে জানতে পারেন তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। তাঁরা সেখানে গিয়ে তাঁকে মৃত দেখতে পান। বিএসএফের অবশ্য দাবি, গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জেলাল। শনিবার রাতে তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন। অতিরিক্ত মদ্যপানের জন্য তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি বিএসএফের। তাঁর পরিবারের অবশ্য দাবি, জেলাল পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। মৃত জালাল মিয়ার ছেলে সানিরুল মিয়াঁ বলেন, ‘‘বাবার মৃত্যুর বিচার চাই। অভিযুক্তদের শাস্তি চাই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement