বুনিয়াদপুরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। নিজস্ব চিত্র।
“আপনারা গুন্ডামি বন্ধ না করলে, আমি গুণ্ডামি শুরু করব। আমরা গুন্ডামি করতে পারি না? মস্তানি করতে পারিনা? আমি গুন্ডামি শুরু করলে, তৃণমূলের ‘পিএইচ ডি’ করা গুন্ডারাও পারবে না। যারা গুন্ডামি করতে যায়, তাদের বালুরঘাটে ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে রাখতে পারি”—শুক্রবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে এসডিপিও দীপাঞ্জন ভট্টাচার্যকে (গঙ্গারামপুর) স্মারকলিপি দিতে গিয়ে তৃণমূল এবং পুলিশের বিরুদ্ধে কার্যত এ ভাষায় আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পুলিশের বিরুদ্ধে সুকান্তের অভিযোগ, অগস্টের গোড়ায় দক্ষিণ দিনাজপুরে এক আদিবাসী নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা পুলিশ ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। বুনিয়াদপুরে একের পরে এক চুরি এবং কিছু দিন আগে সুদের ব্যবসায়ী খুন হলেও পুলিশ নীরব। এসডিপিও এ ব্যাপারে মন্তব্য করেননি। তবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেছেন, “অর্জুন সিং গুন্ডা হয়েছিলেন। তার পরে তাঁর কী অবস্থা হয়েছিল, সে কথা যেন সুকান্তবাবু মনে রাখেন।”
এসডিপিও-র বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করে সুকান্ত বলেন, “একের পরে এক ধর্ষণ হচ্ছে। খুন হচ্ছে। গঙ্গারামপুরে বালি চুরি হচ্ছে। ডাকাতি পর্যন্ত হচ্ছে। কোনও কিছু বন্ধ হচ্ছে না। তৃণমূলের মধ্যে মারামারি হচ্ছে। আর কেস দিচ্ছেন বিজেপি কর্মীদের নামে। এ ভাবে ভারতীয় জনতা পার্টিকে দুর্বল করে দিতে চাইছেন। সে গুড়ে বালি।’’ তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘এই স্মারকলিপিতে যদি কাজ না হয়, আমরা ঘেরাও করব এসডিপিও-কে। প্রয়োজন হলে, গোটা রাজ্য থেকে লোক আনব।’’ এ নিয়ে এসডিপিও কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
পাশাপাশি, বুনিয়াদপুর পুরসভার প্রধান কমল সরকারকেও আক্রমণ করেন সুকান্ত। বলেন, “কিছু দিন আগে মেয়ের বিয়েতে আড়াই হাজার মানুষকে তিনি খাইয়েছেন। এত টাকা কোথায় থেকে আসে? এদের কলার ধরতে পারেন না?” এ প্রসঙ্গে কমল বলেন, “বুনিয়াদপুরের মানুষ জানেন, আমার বাবার কী আছে। আমি চাইলে পাঁচ হাজার মানুষকে খাওয়াতে পারি।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, “কমল আড়াই হাজার মানুষের মুখের খাবার কেড়ে নেননি, তাঁদের খাইয়েছেন।”