বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে মৃত্যুঞ্জয় রায়। — নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে কোচবিহারের বিজেপিতে ভাঙন। গেরুয়াশিবিরে যোগ দেওয়ার কিছু দিনের মধ্যে আবার তৃণমূলে ফিরলেন কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মৃত্যুঞ্জয় রায়। রবিবার কোচবিহার জেলা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী মৃত্যুঞ্জয়ের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। তৃণমূলে ফিরেই নিজেকে ‘ঘরের ছেলে’ আখ্যা দিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়।
গত ২৩ এপ্রিল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন মৃত্যুঞ্জয়। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার এক মাস কাটতে না কাটতেই রবিবার আবার তৃণমূলে ফিরে এলেন তিনি। এ নিয়ে মৃত্যুঞ্জয় বলেন, ‘‘কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে দল ছেড়েছিলাম। আবার ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছি।’’ গত কয়েক দিনের মধ্যে কোচবিহারের কিছু জায়গায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই আবহে মৃত্যুঞ্জয়ের গেরুয়াশিবির ছেড়ে জোড়াফুল শিবিরে ফিরে আসা তাৎপর্যপূর্ণ।
এ নিয়ে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘‘কোনও মান-অভিমান থাকায় মৃত্যুঞ্জয় রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু বিজেপিতে যাওয়ার পর তিনি উপলব্ধি করেছেন তৃণমূল অনেক ভাল। তাই তিনি বিজেপিতে যোগদান করার এক মাসের মধ্যেই আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন। যাঁরা ভুল করে বিজেপিতে গিয়েছেন খুব শীঘ্রই তাঁরা সকলেই আবার তৃণমূলে যোগদান করবেন।’’
মৃত্যুঞ্জয়ের পুরনো দলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে বিজেপির কোচবিহার জেলার সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘তৃণমূলে থাকাকালীন যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁরা বিজেপিতে এসে সুবিধা করতে পারবেন না। সেই কারণেই তাঁরা বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে যাবেনই। এতে কোনও অসুবিধা হবে না। সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। এই যোগদান পর্ব নিয়ে আমাদেরও সন্দেহ রয়েছে। হয়তো জোর করে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে যোগদান করানো হয়েছে।’’