—প্রতীকী চিত্র।
ভাঙন অব্যাহত বিজেপিতে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির সদস্যেরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। দখলে থাকা কয়েক গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়াও হয়েছে পদ্মশিবিরের। এ বার তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে বারো কোদালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাবলু বর্মণও বিজেপি ছেড়ে শনিবার তৃণমূলে যোগদান করলেন। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় বাবলুর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। যার জেরে এই পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে চলে গেল।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬টি আসনের মধ্যে বিজেপি আটটি আসনে জয়লাভ করে। তৃণমূল সাতটি আসনে জেতে। একটি আসনে নির্দল। বিজেপি এই গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে। বাবলু তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় এই পঞ্চায়েতও তৃণমূলের দখলে চলে গিয়েছে। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘বাবলু বর্মণ একসময় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। কোনও কারণে তিনি বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। আজ আবার বাবলু বর্মণ তৃণমূলে ফিরে আসায় আমরা আপ্লুত। আগামী দিনে বাবলু বর্মণ ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান হিসেবে থাকবে এবং সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করবেন।’’
তৃণমূলে যোগদানের পর বাবলু বলেন, ‘‘যে হেতু বুঝে গিয়েছি, পশ্চিমবঙ্গে আর বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না, তাই রাজ্যের বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আজ তৃণমূলে যোগদান করেছি।’’ এ নিয়ে তুফানগঞ্জের বিজেপি বিধায়িকা মালতি রাভা রায় বলেন, ‘‘বাবলু বর্মণকে তৃণমূল অপহরণ করে নিয়ে এসে যোগদান করিয়েছে। এতে করে কোন লাভ হবে না। বারোকোদালি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে ছিল বিজেপির দখলেই থাকবে। বাবলু বর্মন ফিরে গিয়ে আবার বিজেপিতে যোগদান করবে।