—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে দুর্গাপুজোয় জনসংযোগ বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছে বিজেপি। নেতাদের এলাকার পুজোগুলিতে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত থাকতে নির্দেশে দিয়েছেন নেতৃত্ব। কিন্তু জানা যাচ্ছে, বিজেপির বেশিরভাগ নেতাই দুর্গাপুজোগুলিতে সে ভাবে যুক্ত হতে পারছেন না।
রাজ্য সরকার পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দিচ্ছে। সূত্রের খবর, সে কারণে অনেক পুজো কমিটিও চাইছে না বিজেপি নেতাদের সঙ্গে রেখে সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত হতে। তাই এ বার বিজেপির তরফে পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক সাহায্য করার কথা ভাবা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, প্রত্যেক জেলা থেকে কিছু ক্লাবের নাম ইতিমধ্যে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেগুলির অধিকাংশ নাম প্রায় চূড়ান্ত হওয়ার পথে বলে দাবি দলের। যদিও আর্থিক সাহায্যের বিষয়টি অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মণ বলেন, ‘‘আর্থিক সাহায্যের বিষয়টি জানা নেই। তবে নেতারা পুজোগুলির সঙ্গে জড়িত। রাজ্যের অনুদানের আশায় অনেক পুজো কমিটি শাসক নেতাদের গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করবে, এটা স্বাভাাবিক।’’ বিজেপির সূত্রে খবর, শিলিগুড়িতে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বিজেপি নেতাদের নিবিড় যোগ না থাকার খবর রাজ্য নেতৃত্বের কানে পৌঁছেছে। শিলিগুড়ি শহর এবং আশপাশের গ্রাম এলাকা মিলিয়ে মোট ১৩টি পুজো কমিটির নাম জেলা বিজেপির তরফে পাঠানো হয়েছে। ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার’ আশঙ্কায় পুজোর অনুমতি সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্যার আশঙ্কার কথা ভেবে সেই পুজো কমিটিগুলির নাম আপাতত বলতে চাইছেন না বিজেপি নেতারা। তবে দলেরই একাংশের দাবি, বিজেপির সাহায্যের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারি নানা প্রকল্পের প্রচার করা থেকে আরও কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। তাতেই শহর এবং গ্রামের নামী পুজো কমিটিগুলি আগ্রহী নয়। কয়েকটি বড় পুজো কমিটির কাছে নেতারা গেলেও তারা ফিরিয়ে দিয়েছে বলে দাবি।
শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি মানিক অরোরা এ বিষয়ে দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি শনিবার বলেন, ‘‘প্রত্যেক ব্লক এবং বরো থেকে একটি করে ক্লাবের নাম সঙ্গে আরও দু’তিনটি কমিটির নাম রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। বেশির ভাগই মহিলা পরিচালিত পুজো। শর্ত বা অর্থ সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়নি।"
দার্জিলিং জেলা (সমতল) তৃণমূলের সমতলের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার রাজনীতি না দেখে পুজো কমিটিকে অনুদান দিচ্ছে। বিজেপি লোকসভা ভোটের আগে রাজনীতি করতে পুজোয় টাকা দিতে চাইছে।’’