বাধার মুখে দিনহাটার বিজেপি প্রার্থী। নিজস্ব চিত্র।
উপনির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে ফের তৃণমূলের বাধার অভিযোগ তুললেন কোচবিহারের দিনহাটার বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে সঙ্গে নিয়ে অশোক নয়ারহাটে গিয়েছিলেন ভোটের প্রচারে। সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতেই শাসকদলের কর্মীরা তাঁদের হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। তাঁদেরকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগও উঠেছে তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। সোমবারও দিনহাটার বামনহাট এলাকায় প্রচারে গিয়েও তৃণমূলের কর্মীদের বাধার অভিযোগ তুলছিলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগও জানিয়েছে বিজেপি। অভিযোগের পাশাপাশি বিজেপির পক্ষ থেকে নির্বাচনে সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে দাবি জানানো হয়।
ঘটনার পর সাংবাদিক সম্মেলন করেন দিনহাটার বিজেপি প্রার্থী। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও আজ পুলিশ প্রশাসনের সামনে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। এখন পর্যন্ত প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একজন মন্ত্রী এবং উদায়ন গুহের উস্কানি মূলক মন্তব্যের জেরে সাধারণ মানুষের মনে যে ঘৃণার ভাব তৈরি করছে এতে সমাজের ক্ষতি হচ্ছে। উদয়ন গুহু তৃণমূলের আশ্রয়ের এসে শুধু বিজেপি নয় আদি তৃণমূল, আদি কংগ্রেসের যারা জাতীয়তাবাদী মানুষ রয়েছে উদয়ন গুহ তাদের উপর সন্ত্রাস করছে তাদেরও খুন করছে। মানুষ এর জবাব দেবে। এই নির্বাচনে উদয়ন অস্ত যাবে।’’ বিজেপি-র অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন। তিনি বলেছেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবে যুক্ত নয়। দিনহাটার বুকে বিজেপির কোন অস্তিত্ব নেই। তাই বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল প্রচারে আসার জন্য নিজের লোক দিয়ে এই সমস্ত ঘটনা ঘটাচ্ছে। তৃণমূলের এমন সঙ্কটের দিন আসেনি, বিজেপির প্রচারে বাধা দিতে হবে।’’