দিলীপের গাড়িতে ভাঙচুর। নিজস্ব চিত্র।
দলীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়িতে ভাঙচুর। আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁতে দিলীপের কনভয়ের মোট ৩টি গাড়ির উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠছে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে।
দলীয় কাজে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন দিলীপ। গতকাল তিনি ছিলেন কোচবিহারে। সেখান থেকে এ দিন আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁর খোকলা বস্তিতে একটি দলীয় অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন তিনি। তখনই জয়গাঁর সুমসুমি বাজার এলাকায় তাঁর কনভয়ের উপর হামলা চালানো হয়। ঢিল ছোড়ার পাশাপাশি কালো পতাকাও দেখানো হয়। যার জেরে ভাঙে ৩টি গাড়ির কাচ। সেই কনভয়ে দিলীপের সঙ্গে ছিলেন কালচিনির প্রাক্তন বিধায়ক উইলসন চম্প্রামারি। তাঁর ও অন্য এক বিজেপি নেতার গাড়ির কাচও ভেঙেছে।
এই ঘটনার জন্য তৃণমূল কর্মীদের দায়ী করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ইচ্ছাকৃত ভাবে এই ‘গুন্ডামি’ চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। স্থানীয় এক বিজেপি কর্মী বলেন, ‘‘দিলীপ ঘোষ জয়গাঁতে এলে আমরা তাঁকে নিয়ে বাইক র্যালি করছিলাম। সেই সময়ই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের কনভয়ে হামলা চালায়। ঢিল ছোড়ে। পুলিশ প্রশাসনের নীরবতাতেই এই ঘটনা ঘটেছে। বাংলায় গণতন্ত্র নেই।’’ ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
এ দিনে এই হামলা প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে যে আইনশৃঙ্খলা নেই তা প্রত্যেক দিন প্রমাণিত হচ্ছে। মানুষের কাছ থেকে তৃণমূল যত দূরে সরে যাচ্ছে, তত তাদের হতাশা বাড়ছে। সাংসদ এবং দলের রাজ্য সভাপতির উপর আক্রমণ হচ্ছে। রোজ আমাদের ১-২ জন কার্যকর্তা মারা যাচ্ছেন।’’ বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ বলেছেন, ‘‘আজ দিলীপ ঘোষের উপর আক্রমণ করেছে। এর প্রতিবাদে বিকাল ৪টে থেকে সারা রাজ্যে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাব। কালীপুজোর আগে রাস্তায় নামতে হচ্ছে বলে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কিন্তু এই বর্বরোচিত তৃণমূল যা করছে তার প্রতিবাদ করা ছাড়া উপায় নেই।’’
যদিও দিলীপ ঘোষের উপর আক্রমণের বিষয়টি নিয়ে রাজ্য পুলিশের বক্তব্য, আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁতে দিলীপ ঘোষের কনভয় আটকে কালো পতাকা দেখাচ্ছিল একদল জনতা। সেই সময় ভিড় থেকে কেউ ঢিল ছোড়ে। তাতেই সেখানকার পঞ্চায়েত সদস্যের গাড়ি ভাঙে। গাড়িটি দিলীপ ঘোষের কনভয়ের সঙ্গেই ছিল।