TMC-BJP

কোচবিহারে বিজেপি অফিস ভাঙচুরে অভিযুক্ত তৃণমূল, অস্বীকার করে শাসকদলের দাবি, ‘গোষ্ঠীকোন্দলের ফল’

তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের শালবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গাবুয়ারডাঙা এলাকার ঘটনা। বিজেপির অভিযোগ, রবিবার রাতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাবাহিনী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

তুফানগঞ্জ শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২৪ ১৫:০৮
Share:

ভাঙচুর হওয়া বিজেপির কার্যালয়। —নিজস্ব চিত্র।

ভোট মিটতেই অশান্ত কোচবিহার। রাতের অন্ধকারে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের শালবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গাবুয়ারডাঙা এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, রবিবার রাতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাবাহিনী। ভেঙে ফেলা হয় কার্যালয়ে থাকা চেয়ার-টেবিল। একটি টিভিও ভাঙা হয়। যদিও বিজেপির তোলা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকগোষ্ঠী। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলেও তৃণমূলের দাবি।

Advertisement

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির শালবাড়ি -২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পঙ্কজ দাস বলেন, ‘‘সোমবার আমাদের বিজয় মিছিল করার কথা রয়েছে। রবিবার রাত দশটা পর্যন্ত আমরা দলীয় কার্যালয়ে ছিলাম। যে হেতু এলাকায় তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে, তাই আমাদের বিজয় মিছিলকে বানচাল করতে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চলছে। আর তাই রবিবার রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। দলীয় কার্যালয়ে আসবাবপত্র এবং টিভি ভাঙচুর করে। বিষয়টি নিয়ে আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাব।’’

অন্য দিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে শালবাড়ি-২ তৃণমূল অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান পরিমল কারজি বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তৃণমূল সব সময় এলাকায় শান্তিরক্ষার চেষ্টা করে আসছে। সবই বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে বিজেপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আমরা জানি, কিছু দিন আগেই ওই এলাকায় সালিশি সভার নাম করে বিজেপির শক্তি প্রমুখ-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আর তার জেরেই ঘটনাটি ঘটেছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement