Binay Tamang

মাথায় ভোট, দল সাজাচ্ছেন বিনয়

গত ২০১৭ সাল থেকে রাজ্যের সঙ্গে সন্ধি করে পাহাড়ের নিয়ন্ত্রণভার চলে এসেছে বিনয়দের হাতে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২১ ০৬:০৫
Share:

ফাইল চিত্র।

পাহাড়ে আগামী জিটিএ এবং পুরভোটের কথা মাথায় রেখে সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু করে দিল বিনয় তামাংপন্থী মোর্চা। করোনা পরবর্তীতে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরে পাহাড়ে পুরসভা এবং জিটিএ নির্বাচন হতে পারে। আর পাহাড়ের রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে, বিধানসভা পর পুরসভাগুলি এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থায় যাঁরা ক্ষমতায় থাকেন, তাঁরাই পাহাড় নিয়ন্ত্রণ করেন।

Advertisement

গত ২০১৭ সাল থেকে রাজ্যের সঙ্গে সন্ধি করে পাহাড়ের নিয়ন্ত্রণভার চলে এসেছে বিনয়দের হাতে। বিধানসভায় যার ফল দল পেয়েছে। এ বার কোনও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় নেই দল। তাই সংগঠনকে শক্তিশালী করেই পাহাড়ের দখল নিজেদের দিকে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠছেন বিনয় তামাং, অনীত থাপারা। রবিবার দলীয় বৈঠকও হয়েছে। সেখানেই সাংগঠনিক রদবদলের সিদ্ধান্ত হয়। বিনয় বলেছেন, ‘‘সংগঠনকে মজুবত করতে কিছু পদক্ষেপ করা হবে। ধাপে ধাপে সেগুলি কার্যকর করা হবে।’’

দলীয় সূ্ত্রের খবর, ৪৫টি সমষ্টি থেকে বিভিন্ন শাখা, মহকুমা সংগঠন ও জেলা সংগঠন আরও মজবুত করতে রদবদল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমই নজর দেওয়া হচ্ছে দার্জিলিং ও কার্শিয়াং মহকুমায়। এই দু’টি আসনে বিধানসভায় বিনয়েরা জিততে পারেনি। বিজেপি মোর্চার দুই গোষ্ঠীর ভোট কাটাকাটিতে জিতলেও দ্বিতীয় স্থানে বিনয়পন্থীরা আছেন। অনেকটা পিছিয়ে বিমল গুরুং-রা।

Advertisement

পাহাড়ের চারটি পুরসভা। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং এবং মিরিক। গত ২০১৭ সালে পাহাড়ে পুরভোট হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল মিরিক পুরসভা দখল করে। দার্জিলিঙে একজন কাউন্সিলর জেতেন। মিরিক ছাড়া বাকি তিনটি বিমল গুরুং-এর মোর্চা দখল করে। ২০১৭ সালের আন্দোলনে বিমল পাহাড় ছাড়তেই ধাপে ধাপে তিনটি পুরসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যান বিনয় শিবিরে নাম লেখান। গত বছর গুরুং প্রকাশ্যে আসতেই আবার কয়েকজন কাউন্সিলর বিমল শিবিরে ফেরার ঘোষণা করেন। এই টানাপড়েন চলছেই।

বাকি রইল জিটিএ। গুরুং ছাড়ার পর থেকেই তা বিনয়, অনীতদের হাতেই ছিল। ভোটের আগে রাজ্য সরকার জিটিএ সচিবকেই প্রশাসক হিসেবে বসিয়ে দেয়। ভোটে বিনয়েরা কালিম্পং আসন জেতে। বাকি দু’টিতেই গুরুংকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় হয়। তাতে বিনয়েরা ভেবেছিলেন জিটিএ-র দায়িত্ব তাঁদের আবার ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তা না হওয়ায় বিনয় শিবির আকারে ইঙ্গিতে ক্ষোভ প্রকাশও করেছে। কিন্তু রাজ্যের শাসকদল বুঝিয়ে দিয়েছে, ময়দানে লড়াই করেই ক্ষমতা দখল করে নিতে হবে বিনয়দের। বিধানসভা ভোটে তাই মোর্চার দুই পক্ষকে খোলা মাঠ ছেড়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পুরসভার মেয়াদ শেষ হতে এখনও এক বছর বাকি। বিনয়পন্থীরা মনে করছেন, এর মধ্যে সংগঠনকে মজবুত করে তাই জমি দখল করতেই হবে। দার্জিলিং, কার্শিয়াংয়ে হারের পর তাই এই মহকুমাতেই আগে নজর দেওয়া হচ্ছে। তা হলে পুরভোটের সঙ্গে জিটিএ নির্বাচনে এর সুফল মিলবে। সেই অঙ্ক কষেই করোনাকালে ধীরে ধীরে আগাম ময়দানে নেমে পড়তে চলেছেন বিনয়, অনীতেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement